গাবতলীতে অবৈধ পন্থায় সার না দেওয়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র—
বগুড়া প্রতিনিধি:
কুচক্রী মহলের অন্যায়-অত্যাচার ও হামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়া গাবতলীর সুখানপুকুর বাজারের দুই বিএডিসি সার ডিলার। ১৩জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে গাবতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্যে ডিলার আব্দুর রশিদ ও পরিমল চন্দ্র বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে বরাদ্দকৃত সার ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় মোজাহার আলীর নেতৃত্বে তার ছেলে রুহিন ও হিটলু, সহযোগী সিরাজুল ইসলামসহ কতিপয় ব্যক্তি আমাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে সরকারী
মূল্যে পটাশ সার কিনে অন্যত্র বেশি দামে বিক্রি করা শুরু করেছেন। এরআগে মোজাহার আলী ও তার ছেলে হিটলু ডিলার আ: রশিদের কাছ থেকে সার ক্রয় করে প্রায় ৮হাজার টাকা বকেয়া রেখেছেন। কিন্তু বাকী ওই টাকা ফেরত চাইলে আমাদের ক্ষতি করবেন বলে মোজাহার হুমকি
দেন। বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসারকে জানালে তিনি শুধুমাত্র প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি করার নির্দেশ দেন। এরপর ডিলাররা বেশি সার দেয়া বন্ধ করলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন চারজনের সিন্ডিকেটের ওই দুষ্টচক্র। তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দেয়াসহ নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন। প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫জানুয়ারী মোজাহার আলী ও তার লোকজন সারের দোকানে এসে ডিলার আ: রশিদকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় পরেরদিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। এতে ওই দুষ্টচক্র আরো রেগে
১২জানুয়ারী বিকেলে স্থানীয় সুখানপুকুর বাজারে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুখানপুকুরে সারের কোন সংকট নেই। পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। তবে সুখানপুকুরে কে কে ডিলারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অযথায় বেশি করে পটাশ সার উত্তোলন করেছেন
সেই ডকুমেন্ট আমাদের কাছে সংরক্ষণে রয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে দুই ডিলার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সুখানপুকুর এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম, আইয়ুব আলী সরকার, মোস্তাফিজার সরকার, জিয়াউর রহমান, আ: হান্নান, আমিনুল ইসলাম, আ: হক, রিপন মিয়া, আমজাদ হোসেন, আবুল কাশেম প্রামানিক, তোফাজ্জল প্রাং, লুৎফর মন্ডলসহ আরো অনেকে।