গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গত ৪ জানুয়ারী ২০২৩ এলাকাবাসীর পক্ষের লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি।
প্রাপ্ত অভিযোগে যানাযায়,কঞ্চিপাড়া ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রওশনা ইয়াসমিন সহ বর্তমান এস.এম.সির সভাপতি জনাব রেদোয়ান আশরাফ (পলাশ) কমিটির মিটিং ছাড়া জোগ
সাজসে অত্র প্রতিষ্ঠানের অভ্যান্তরে ইতি পূর্বে ২-৩ টি গাছ কর্তন করে। বর্তমানে ২টি মেহগণি গাছের ডালপালা ও গাছের অর্ধেক অংশ কর্তন করিয়াছে। যার ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য, দেশের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
এলাকাবাসী গাছ কাটার কাজে বাধা দিলে প্রধান শিক্ষক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় জমির দাতা কে বাদ দিয়ে এস,এম,সির সভাপতি প্রধান শিক্ষক তার আপন ভাইকে সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত করেছেন।। ফলে জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশনা ইয়াছমিন বলেন যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।গাছ কর্তনের বিষয়টি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেদোয়ান আশরাফ পলাশ বলেন সকল নিয়ম মেনে আমি এই বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।গাছ কর্তনের বিষয়টি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন।কিছু শুকনা ডালপালা যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিপদ জনক ছিলো বিধায় তা ছেটে ফেলা
হয়েছে।তবে স্কুলের আসবাব পত্রের জন্য যদি কখনো গাছ কর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে রেজুলেশনের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কর্তন করা হবে।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগের যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনা করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদানকরেছি।তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।