আব্দুল মান্নান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত ১৩ই মার্চ ২০২৩ইং সোমবার সকাল থেকে কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে
অনুষ্ঠান শুরু হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী
বাঘা উপজেলার সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট লায়েব উদ্দিন (লাভলু) উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি তো করেন উক্ত দরবার শরীফের পীর ডাঃ নুরুজ্জামান মাইজভান্ডারী কেবলা কাবা।
শেষ ফাল্গুনের এই মনোরম আবহাওয়ায় দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত পবিত্র ওরশ মাহফিলে যোগ দেন, বাংলাদেশ বাউল ও লোক সংস্কৃতির সভাপতি,আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউল সাধক, গুরু এসএম শফি মন্ডল।
এছাড়াও যোগদেন জনপ্রতিনিধিসহ জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন অঞ্চল সহ এলাকার আশেকান, তরিকান, জাকেরান ভক্ত বৃন্দ। নিজেদের মধ্যে চলে গান, ভাব ও ভালোবাসার ভাগাভাগি।
আত্মতথ্য যেই জেনেছেদিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে,/ কু-বৃক্ষে সুফল পেয়েছে,/ আমার মনের ঘোর গেল না।’ আত্মতত্ত্বের মাহাত্ম্য আর মনের ঘোর দূর করার নিমিত্তে প্রতি বছরের ন্যায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম (ভান্ডারী ভাব নগর) ভান্ডারী দরবার
শরীফে পীরে কেবলা মুর্শিদে কামেল হযরত শাহ্ সূফী গাউছুল আজম মাওলানা বাবাজান কামাল-ডা.নুরুজ্জামান মাইজ ভান্ডারী (কেঃ কাঃ) খেলাফত দিবস উপলক্ষে
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর আগেই মহান সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে ফেরেশতাগণ তর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন।
ফেরেশতাগণ বলেছেন, মানুষ পৃথিবীতে গিয়ে রক্তারক্তি করবে। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, মানুষ হবে সৃষ্টির সেরা জীব। তাই আসুন- ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, সেটাকে প্রমাণ করতে প্রতিহিংসা পরায়ন না হয়ে সমাজে ভালো কাজ করি।
প্রভাষক আব্দুল হানিফ ও সালাম ভান্ডারীর সঞ্চালনায় আয়োজিত ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।বাদ এশা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমানান শফি। তাশরিফ পেশ করেন বাংলাদেশ বাউল ও লোক সংস্কৃতির সভাপতি,আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউল সাধক, গুরু এসএম শফি মন্ডল।
উপস্থিত ছিলেন,ডাঃ আকতারুজ্জামান, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিঞা,সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান, ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান মাইজভান্ডারী বিশেষ প্রতিনিধি দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান,
উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক জাফর ইকবালসহ জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন অঞ্চল সহ এলাকার আশেকান, তরিকান, জাকেরান ভক্ত বৃন্দ পরে ফতেহা শরীফ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মনিগ্রাম সুরতরঙ্গ বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে ভাব গম্ভীর পরিবেশে শ্যামা কাওয়ালী, গজল ও ভান্ডারীশান পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পীরা।