বাঁশখালীতে বসতঘর পুড়ে ছাই,সর্বস্ব হারিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থরা,দগ্ধ প্রতিবন্ধী
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জঙ্গল কোকদন্ডীর কাজীর পাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় সর্বস্ব হারিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা,এতে একপ্রতিবন্ধী অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়ায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাটি পরিদর্শন করেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী,বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী,কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আ ন ম শাহাদাত আলম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মোঃ তৌহিদুল হক প্রমূখ।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,২১ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টার দিকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে,এতে ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ফলে সর্বস্ব হারিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার,এসময় ঘরের ভিতরে থাকায় নুরুল ইসলাম এর মেয়ে খালেদা বেগম(৩২)নামের এক প্রতিবন্ধী অগ্নি দগ্ধ হয়েছে,তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে যাওয়াতে গুরুতর আহত হয়,স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
এসময় তারা আরো বলেন,ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রবেশ সড়কটির দুপাশে রামদাশ মুন্সির হাট ব্যবসায়ীদের মামলা রেখে দখল করে রাখার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী যথাসময়ে প্রবেশ করতে না পারায় বসতঘর গুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, তাই অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে প্রবেশ পথটি প্রশস্ত করতে প্রশস্ত করার প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন,মৃত্যু আব্দুস সবুরের ছেলে মোঃ করিম,মৃত্যু নুর আহমেদের ছেলে মোঃ ইসমাইল, মৃত্যু ফোরক আহমেদের ছেলে শামশু মিয়া ও এন্তু মিয়া, মৃত্যু মোক্তার আহমদের ছেলে মোঃ ইলিয়াস,রশিদ আহমদের ছেলে মোঃ মামুন ও মোহাম্মদ হাসান,কায়ছার আহমদের ছেলে মোঃ শাকিল,মৃত্যু রশিদ আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং এন্তু মিয়ার ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম।
ক্ষতিগ্রস্ত পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ বসতঘরের সমস্ত মালামালসহ পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে,এতে অন্তত ৪৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,খালেদা বেগম নামের এক প্রতিবন্ধী গুরুতর আহত হয়েছে বলেও জানান তারা।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এর টিম লিডার আবুল বশর বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্তলের গাড়ী নিয়ে প্রবেশ করতে পারি নেই, পরে ভ্যান গাড়ী ও কাঁদে করে আমাদের মালামাল নিয়ে এসে প্রায় দুই ঘন্ট চেষ্টা পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনের সূত্রপাতটি সঠিতভাবে নিশ্চিত হতে পারিনি।