নিজেস্ব প্রতিবেদক,
মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে নিভে গেল তার তরতাজা প্রাণ।যশোরের বাঘারপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল গেল আবুল কালাম(১৫) নামের এক কিশোরের। সে বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিমা গ্রামের মুক্তার হোসেনের বড় ছেলে। সে ২৬ পারা কুরআনের হাফেজ। সে খুলনায় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নিয়মিত পড়ালেখা করত।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় তার নিজ বাড়ির সামনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সে মৃত্যুবরণ করে। ঢাকা মেট্রো জ ১১-১০৮৬ স( হক এন্টারপ্রাইজের) একটি গাড়ি শালিখা বাজার থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে তার বাড়ির সামনে আসলে হঠাৎ করে সে বাসে লাফিয়ে ওঠে এবং কিছু সময় পরে নামতে গেলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার মাথার উপর দিয়ে বাসের চাকা উঠিয়ে দেয় এবং ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। সংবাদ পেয়ে বাঘারপাড়া থানা সাব-ন্সপেক্টর বিল্লাল হোসেন,নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পাস ইনচার্জ সাগর হোসেন এবং এএসআই জামাল হোসেন ঘঠনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং তৎক্ষণাৎ বাসটিকে আটক করে বাঘারপাড়া থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় প্রতিনিয়ত নারিকেলবাড়িয়া বাজার থেকে শালিখা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাস ড্রাইভার তারা হেলপার কে দিয়ে গাড়ি পরিচালনা করে,নারিকেলবাড়িয়া বাজার পার হয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানো তাদের নেশ।কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তারা গাড়ি ড্রাইভ করে, এতে করে ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা, প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী জানান ঘটনার আগের দিন ও ঘটেছে আরেকটি ঘটনা একজন হেলপার একটি পিলারে নিয়ে গাড়ি মেরে দিয়েছে,
দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে নারিকেলবাড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা, ডাক্তার মশিউল আলম, সহ শালিখা এবং বাঘারপাড়া উপজেলার থেকে আরো অনেক লোকজন ঘটনাস্থল এ পৌঁছান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই।
নারিকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সাগর হোসেন জানান এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে আমরা পাঁচটি সহ ও ড্রাইভারকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
এরকম মর্মান্তিক এবং অকাল মৃত্যুতে আর কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয় এই বিষয়টি প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও গুণীজনেরা নিহত আবুল কালামের আইনি প্রক্রিয়াএবং ধর্মীয় রীতি-নীতি শেষ করে মাগরিবের পর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।