সত্যকণ্ঠ
  • Login
  • সারাবাংলা
  • ফিচার
  • দেশ
  • জাতীয়
  • ক্রাইম
  • জানা-অজানা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রযুক্তি
  • ইসলাম কথা
  • বিশেষ সংবাদ
  • বাণিজ্য
No Result
View All Result
  • সারাবাংলা
  • ফিচার
  • দেশ
  • জাতীয়
  • ক্রাইম
  • জানা-অজানা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রযুক্তি
  • ইসলাম কথা
  • বিশেষ সংবাদ
  • বাণিজ্য
No Result
View All Result
সত্যকণ্ঠ
No Result
View All Result
Home ক্রাইম

ভোলার চরাঞ্চলে ১শ একর সরকারী বনের গাছ সাবাড়

প্রকাশক by প্রকাশক
March 26, 2023
in ক্রাইম, জাতীয়, ফিচার, সারাবাংলা
0
ভোলার চরাঞ্চলে ১শ একর সরকারী বনের গাছ সাবাড়
0
SHARES
2
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

ভোলার চরাঞ্চলে ১শ একর সরকারী বনের গাছ সাবাড়

সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলার চরফ্যাশনে ঢালচর ইউনিয়নে নির্বিচারে উজাড় হচ্ছে বন। চলতি শুষ্ক মৌসুমে সংরক্ষিত বনের দুটি এলাকার প্রায় ১০০ একর বন উজাড় করে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাছঘাট ও মাছের ঘের করেছে স্থানীয় ভূমি ও বনদস্যুরা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অর্ধশত ব্যক্তি বন কেটে বাড়িঘর নির্মাণ করছে।
এদিকে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা সংরক্ষিত বন উজাড়ে মহোৎসব চললেও তা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না স্থানীয় প্রশাসন। দস্যুদের কবল থেকে বন উজাড় বন্ধ করতে না পারলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোলাসহ উপকূলের বাসিন্দাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করছে ম্যানগ্রোভ বাগান। ঝড়-বাদলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা সাগর

তীরের ঢালচরের সেই ম্যানগ্রোভ বাগান নির্বিচারে ধ্বংস করছেন বনদস্যুরা। সরেজমিন দেখা যায়, ঢালচরের চর সত্যেন মৌজার মাঝের চরে প্রায় ৭২ একর বনের গাছ কেটে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি, মাছের খামার, হাটবাজার ও মাছঘাট। গত দুই মাস ধরে একাধিক এক্সক্যাভেটর দিয়ে বনের গাছ কাটা হচ্ছে। বনের এসব জায়গায় মাছের ঘের ও ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। বাগান আর মাছের ঘেড়ের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে

আছে কাটা গাছের স্তূপ। দ্রুত গাছ কাটার জন্য এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করা হয়। মাঝের চরের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদারের নামে এক বছর আগে স্থাপন করা হয়েছে ‘হাওলাদার বাজার’ নামের একটি বাজার। পাশেই মাছঘাট। ওই বাজারের দক্ষিণ পাশে চলছে বন ধ্বংস ও ঘর তৈরির কাজ। বন উজাড়ের জন্য বাজারের পাশেই চারটি এক্সক্যাভেটর রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বাজারসহ পুরো এলাকা স্থানীয়

প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে। দূর-দূরান্ত থেকে সরকারি বা বেসরকারি কোনো ব্যক্তি এলেই তাদের ঘিরে রাখে একটি গ্রুপ। বন ধ্বংসকারীরা সবাই একই সিন্ডেকেটের হওয়ায় সব তথ্যই গোপন করে রাখেন।
বাজারের দক্ষিণ পাশের উজাড় করা বনের ডালপালা কাটতে দেখা’ মো. ইলিয়াছ নামের এক জেলেকে। তাঁর ভাষ্য, গত দুই মাস ধরে বন কেটে স্থানীয় মানুষ এখানে ঘরবাড়ি করছেন। ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনের

মধ্যেই ঘের করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে ভেকু (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে এসব ঘের করা হচ্ছে। বাজারের দক্ষিণ পাশে বন কেটে বাড়ি নির্মাণ করেছেন সাবেক মেম্বার মো. সফি। তিনি জানান, চারবার নদীভাঙনের পর এখানে এসে ঘর তুলেছেন। নিজের জমি না থাকায় তিনি নষ্ট হয়ে যাওয়া বন পরিষ্কার করে বাড়ি করেছেন। এর জন্য বন বিভাগের সাবেক এক কর্মকর্তাকে টাকাও দিতে হয়েছে।

এর পাশের আরেক বাসিন্দা ইকবাল হাসান, এখানে বাড়ি করতে গিয়ে বন বিভাগের তিনটি মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। নদী ভাঙার কারণে এখানে বাড়ি করতে বাধ্য হয়েছেন- এমন দাবি ইকবালের। ওই বাজারে জামাল নামের এক ব্যবসায়ীর বক্তব্য, টাকা দিয়ে মরা গাছ পরিষ্কার করে ঘর তুলেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করবেন এখানে। নদী ভাঙায় যাওয়ার জায়গা নেই, তাই ঘর করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কমান্ডারেরও একই কথা। ঢালচরের নদীভাঙা মানুষগুলো এখানে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। হাজার হাজার গাছ কাটার চিহ্ন আর গাছের স্তূপ পথে পথে পড়ে থাকলেও ওই এলাকার সবার একই কথা, মরাগাছ পরিষ্কার করে বা বাগানের বাইরে তাঁরা ঘরবাড়ি করেছেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই বনের মধ্যে ঘরবাড়ি করা হচ্ছে। মামলা মোকদ্দমা যাই হোক বনের মধ্যে ঘরবাড়ি তোলা অব্যাহত থাকবে। সবুজ ও কাজলের নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ পূর্ব ঢালচর খালের দুই পাশের প্রায় ১০ একর বাগানের গাছ কেটে তৈরি করছেন মাছঘাট। সরকারি বাগান ঢালচরের প্রভাবশালী দুটি গ্রুপ নিজেদের সম্পত্তি মনে করে উজাড় করলেও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় প্রশাসনের নজরদারির বাইরে রয়েছে বিষয়টি।

এদিকে প্রভাবশালী মহলের তোপের মুখে অনেকটা জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন স্থানীয় বনকর্মীরা। প্রভাবশালীরা বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তাদের আতঙ্কে রাখেন। ওই চরের হাটবাজারের দোকানদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বনকর্মীদের কাছে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি না করার জন্য।

প্রকাশ্যে এমন ঘোষণায় মনোবল হারিয়ে ফেলেছেন বনকর্মীরাও। এসব বনদস্যুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে হেনেস্তা হয়েছেন একাধিক কর্মকর্তাও। বন উজাড়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার। তিনি বলেন, নদীভাঙনের শিকার কিছু পরিবার বনের পাশের খোলা জায়গায় বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি করেছে। তাঁদেরে যাওয়ার জায়গা নেই।

এ ছাড়া যে সব স্থানে ঘরবাড়িসহ স্থাপনা করা হয়েছে, সেসব জমি খাস। ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, আগের মাছঘাট ভেঙে যাওয়ায় মাঝেরচর খালপাড়ে মাছঘাট করেছেন জেলেরা। আর সেখানে কিছু দোকান করে তার নামে ‘হাওলাদার বাজার’ করেছেন জেলেরা।

ঢালচরের রেঞ্জ কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর জানান, ১৯৭৬ সালের পর মাঝের চরে বনায়ন করা হয়েছে। নদীভাঙন কবলিত মানুষের আশ্রয়ের নামে মাঝের চরে প্রায় ৭৬ একর বন উজাড় করা হয়েছে। পূর্ব ঢালচরের খালের দুই পাশে ১০ থেকে ১২ একর বাগান কেটে মাছঘাট করেছে অপর একটি গ্রুপ।

এ ঘটনায় তারা (বন বিভাগ) চারটি মামলা করেছে। বন কাটা সাময়িক বন্ধ করার পাশাপাশি বনের মধ্যে কাজ করার জন্য আনা চারটি এক্সক্যাভেটর জব্দ করা হয়েছে। তবে বনকর্মীদের হুমকি-ধমকির মাধ্যমে জিম্মি করে এখনও গাছকাটা চলছে বলে জানা গেছে। নির্বিচারে এমন বন উজাড়কে উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া।

জেলা উন্নয়ন ও স্বার্থরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপুর দাবি, বন রক্ষায় বনদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বিভাগী বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার জানান, দখল করা বনের জমি উদ্ধারের চেস্টা চলছে।

Previous Post

ভোলায় সাংবাদিক মিলি সিকদারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এস আই সাদ্দাম’র বিরুদ্ধে

Next Post

নিসচা ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশক

প্রকাশক

Next Post
নিসচা ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

নিসচা ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent News

  • শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আশাব্যঞ্জক : বাণিজ্য উপদেষ্টা
    শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে দ্রুতই চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে দ্রুতই চিরুনি [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • মিটফোর্ডের ঘটনায় জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    মিটফোর্ডের ঘটনায় জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে- [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
    বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমার মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর-উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ
    তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমার [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সাথে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
    ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সাথে যুব ও ক্রীড়া [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • নারী নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধে কাজ করবে কুইক রেসপন্স টীম, কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে যাত্রা শুরু-উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
    নারী নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধে কাজ করবে কুইক [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
No Result
View All Result

বিশ্বাস ভিলা, নারিকেল বাড়িয়া, বাঘাড়পাড়া, যশোর-৭৪৭০
কপিরাইট © ২০২৩ satyakantho.com দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত, এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
Logo

উপদেষ্টা মন্ডলী : সম্পাদক:মুহাম্মাদ বিলাল হুসাইন,(এলএলবি শেষ পর্ব) ) নির্বাহী সম্পাদক:শামীমা আক্তার, বার্তা সম্পাদক:আবরার খান, নির্বাহী বার্তা সম্পাদক: মোঃ শাহিন কাদির।,

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বিশ্বাস ভিলা,সোনালী ব্যাংক রোড (বালিকা বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে )নারিকেলবাড়িয়া বাজার,বাঘারপাড়া, যশোর-৭৪৭০ মোবাইল:০১৬০০৩১০২৯১__০১৫৬৮৬৮৬৫৫৩__০১৮১৮৮৮৪১৪০ Email:satyakantho2022@gmail

কপিরাইট © ২০২৩ satyakantho.com দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত, এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

All Rights Reserved © 20223 _ www.satyakantho.com