রংপুরে বুড়িরহাট বাহাদুর সিংহে চলাচলের রাস্তা নিয়ে সংর্ঘষে আহত ৫
মাটি মামুন রংপুর।
রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট বাহাদুর সিংহ
(মধ্য পাড়ায়)চলাচলের রাস্তা নিয়ে সংর্ঘষে আহত পাঁচজন তার মধ্যে গুরুতর দুইজন।
পরশুরাম থানার এহাজার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের রাস্তার জমি নিয়ে
বিরোধ চলে আসছে পরশুরাম থানায় এহাজারকারী শাকিবুর রহমান সৈকতের সাথে প্রতিবেশি রায়হান মিয়ার।বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ২৬/০৩/২০২৩ তারিখ তারাবির নামাজ শেষে রাত ১০টার দিকে
আসামীদের বাড়ির সামনে প্রতিবেশী আঃ ছালাম-এর উঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি শালিস বৈঠক হয়েছিল। শালিস বৈঠকের এক পর্যায়ে রাত ১১টার সময় আসামী ১। রায়হান মিয়া লিয়ন (২৬),
পিতা-মোঃ নুরুল আমিন, ২। নুরুল আমিন (৫৯), পিতা-মৃত নিজাম উদ্দিন, ৩। রুহুল কুদ্দুস রুবেল (৩২), পিতা-মৃত আঃ রাজ্জাক, সর্বসাং-বাহাদুর সিংহ (মধ্য পাড়া), ৪। মোঃ আইনুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৌলবি মোঃ সুলতান মিয়া, সাং-গজঘন্টা (কৈপাড়া), ৫।
মোঃ সোহেল মিয়া (৩৫), ৬। মোঃ শাকিল মিয়া (২৩) উভয় পিতা-মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাং-কিশামত হাবু (ইন্দ্রিরার পাড়) ৭। মোঃ নাইম মিয়া (২০), পিতা-মোঃ আইনুল হক, সাং-মোছাঃ রশিদা বেগম (৫০), স্বামী-মোঃ নুরুল আমিন, ৯। মোছাঃ নিশাত বেগম
(২৩), পিতা-মোঃ নুরুল আমিন, ১০। মোছাঃ সোনালী বেগম (৩৫), স্বামী-মোঃ রুহুল কুদ্দুস রুবেল, সর্বসাং-বাহাদুর সিংহ (মধ্য পাড়া), থানা-পরশুরাম।আসামীরা বৈঠক চলাকালে কথার মারপ্যাঁচে উত্তেজিত হয়ে সৈকতের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ
শুরু করে। সৈকতের চাচা মোঃ শাহানুর ইসলাম হাসু (৫৯) আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ২নং আসামীর হুকুমে ৪নং আসামী তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে সৈকতের চাচা মোঃ শাহানুর ইসলাম
হাসু (৫৯)-এর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে এবং ৮নং আসামী সৈকতের চাচাকে কিলঘুষি মেরে তার শার্টের বুক পকেটে থাকা ৭,৩০০/-টাকা নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। সেই সময় সৈকত ঠেকাতে গেলে ৫নং আসামী সোহেল মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে
সৈকতের মাথায় আঘাত করতে গেলে উক্ত আঘাত সৈকত হাত দিয়ে ঠেকায়।যার ফলে উক্ত আঘাতে তার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনী আঙ্গুলের মাঝখানে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। সৈকতের জ্যোঠাতো ভাই
মোঃ মতিয়ার রহমান জুলু মিয়া এগিয়ে আসলে ১নং আসামী তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে জেঠাতো ভাই মতিয়ার রহমান জুলু মিয়ার মাথায় সজোরে কোপ মারে। সেই সময়
সৈকতের জেঠাতো ভাই রফিকুল ইসলাম অন্টুর স্ত্রী মোছাঃ ফুলতি বেগম (৫০) এগিয়ে আসলে ৩নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে সৈকতের ভাবি মোছাঃ ফুলতি বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়
এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে এবং তার কানে থাকা ০৫ আনা ওজনের স্বর্ণের দুল যার মূল্য ২৯,০০০/-টাকা কান থেকে ছিড়ে নেয়।সৈকতের অপর জেঠাতো ভাই লাবিব মিয়া (৩৮) এগিয়ে আসলে ৬নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সৈকতের ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে।
তখন সৈকতের স্ত্রী লিজা বেগম (২৭) এগিয়ে আসলে ১নং আসামী সৈকতের স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি মারে ও তার পরনের কাপড়-চোপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
জেসমিন আক্তার (৩০) ঠেকাতে গেলে ৭নং আসামী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি মারে ও তার পরনের কাপড়-চোপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
এছাড়াও সৈকতের মা সেলিনা বেগম (৫০) এগিয়ে আসলে ৯ ও ১০নং আসামী মায়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি মারে। তাদের ডাকচিৎকার শুনে ১। মহবুল ইসলাম (৫০), পিতা-মৃত মনির
উদ্দিন, ২। মোঃ বকুল মিয়া (৪০), পিতা-মৃত তমির উদ্দিন, ৩। ইমরান ইসলাম (২৫), পিতা-মোঃ মতিয়ার রহমান জুলু, ৪। আঃ জলিল (৪৫), পিতা-নুর মোহাম্মদ, সর্বসাং-বাহাদুর সিংহ (মধ্য পাড়া), থানা-পরশুরাম, মহানগর রংপুরগণসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে
আসলে উক্ত আসামীরা জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে যাওয়ার সময় সৈকতের ভাবি ফুলতি বেগমের বাড়ির গেইট ভেঙ্গে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে জানালার থাই ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর
করে। যার আনুমানিক মূল্য ৪৫,০০০ টাকার মত ক্ষতিসাধণ করে। আহতদের উদ্ধার করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি অটোযোগে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে
নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। মেডিকেল চিকিৎসা শেষে পরশুরাম থানায় মেডিকেল চিকিৎসার সকল কাগজ পত্রসহ ১০ জনকে আসামি করে সৈকত এজাহার দায়ের করে।