পটুয়াখালীতে একই পরিবারে ৫৭ জন
পবিত্র আল কোরআনের হাফেজ
পর্যটন প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে একই পরিবারে ৫৭ জন হাফেজ হয়েছেন। এই মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সুনাম কুড়িয়েছেন একই গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৭১)। তিনি এলাকার পন্ডিত ধার্মিক নুর মোহাম্মাদ হাওলাদেরর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বোলতলী গ্রামে। একই গ্রামের কাঞ্চন সিকদারের মেয়ে মঞ্জুরা বেগেমের সাথে বিবাহ হয় অনেক আগে। পরে এই দম্পত্তির ঘর আলোকিত করে ১০ সন্তান জম্ম নেয়।
এদের মধ্যে ছয় মেয়ে এবং ৪ ছেলে। নিজে এইচএসসি পাস করলেও নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠান করেন হাফেজিয়া মাদ্রসা। পবিত্র হাফেজ বানিয়েছেন নিজের ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।
তাছাড়া তাদের বিয়েও দিয়েছেন হাফেজের সাথে। সবমিলিয়ে পরিবারে এখন ৫৭ জন পবিত্র কোরআন শরিফের হাফেজ।
কথা হয় শাহজাহানের সঙ্গে, তিনি বলেন, তার বাবা পন্ডিত নুর মোহাম্মাদ ছিলেন একজন ধর্মপ্রান মুসলমান।
তিনি সৌদিতে হজ করতে গেলে সেখানেই মারা যান তার বাবা। নুর মোহাম্মাদ ছোটবেলা থেকেই হাফেজকে খুব পছন্দ ও ভালবাসতেন। শাহজাহান তার বাবার আদর্শ বুকে লালন করে সিদ্ধান্ত নিলেন পরিবারের সবাইকে হাফেজ বানাবেন।
এরপর ৪৫ বছর আগে স্ত্রীর ১৩ ভরি সোনা, ১৩ কেজি রূপা বিক্রি করে বাড়ির সামনে তৈরী করেন একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা। তিনি জানান,সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সহায়তা পাইনি। এ জন্য সরকারের কাছে এতিম শিক্ষার্থীদের সহায়তার দাবি তার।
শাহজাহানের পঞ্চম ছেলে হাফেজ মো:জোবায়ের বলেন, ব্যাবসার পাশাপাশি পরিবাবের সবাই হাফিজি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা এবং মসজিদে খতিবের দায়ত্ব পালন করছি। ঢাকা বরিশাল ও বাউফলসহ বিভিন্ন স্থানে ২৫টি মাদ্রসা প্রতিষ্ঠিত করেছি।
স্থাণীয় আশরাফুল কওমী মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মাইনুল ইসলাম জানান, পরিবাবের সব সদস্যদের দিনের কাজ শিক্ষা গ্রহন করছেন। এটা আমাদের গোটা মুসলিম জাতীর জন্য গৌরবময় ইতিহাস হয়ে থাকবে চিরকাল।