চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় ড্রেনের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজ চলছে!
মোঃখোরশেদ আলম,বিশেষ সংবাদদাতা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক পশ্চিম বাইপাস সড়কের ড্রেনেজ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাইপাস সড়কের ফালগুনকরা অংশের শ্রী লক্ষণ সূত্রধর ও আবু তাহের মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন ড্রেনে তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই কাজ চলমান রয়েছে।
এতে করে এলাকার পানি নিস্কাশন ও ময়লা ড্রেন দিয়ে খালে যেতে বিঘ্ন ঘটবে। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। কয়েকদিন থেকে আবারও বিদ্যুতের খুঁটি রেখে একই কায়দায় নির্মাণ কাজ শুরু করলে জনগণের আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ রাখতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ জানুয়ারি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক পশ্চিম বাইপাস সড়কের ড্রেনেজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন। বাইপাস সড়কের ফালগুনকরা অংশের শ্রী লক্ষণ সূত্রধর ও আবু তাহের মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন ড্রেনে তিনটি বিদ্যুতের পিলার রেখেই কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ট্রেডার্স।
স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ড্রেনের মাঝে বিদ্যুতের তিনটি খুটি রেখেই নির্মাণ কাজ আবারও শুরু করা হয়। ড্রেনে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
বুধবার সকালে সাংবাদিকরা সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখতে পায়, বিদ্যুতের খুঁটি যথাস্থানে রেখেই পুনরায় ড্রেনের নির্মাণ কাজ চালু করে। এ সময় এলাকার জনগণ কাজে বাধা দেয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হয়। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ড্রেনের কাজ করা হোক। এছাড়া অনেকের বাড়ির সামনে
রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর সরানোর জন্য বারবার নির্দেশনা দিলেও সীমানা প্রাচীর সরাচ্ছেনা কেউ। এতে করে রাস্তা ও ড্রেনেজ কাজের বিলম্ব হচ্ছে।পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহীন শার হোসেন বলেন, ‘রাস্তা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ গত অর্থ বছরে শুরু হয়েছে। তবে এলাকার লোকজন বিদ্যুতের খুঁটি থেকে পূর্ব দিকে জায়গা না
দেওয়ায় ড্রেনেজ কাজের বিলম্ব এবং ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়টি দেখার জন্য প্রকল্প পরিচালক নুর হোসেন পরিদর্শন করে খুঁটি রেখেই কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে জনগণের কল্যাণে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো স্থানান্তর করতে দেরি হওয়ায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে’।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ট্রেডার্সের পক্ষে মোঃ মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুঁটি সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে কিছু সময় লাগতে পারে’।চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন বলেন, ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনটি খুঁটি সরিয়ে নেয়ার জন্য ওয়াপদার আবাসিক প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রকৌশলী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন’।