রংপুরে প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণে অভিযোগ উঠেছে
মাটি মামুন, রংপুর
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বকশিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সরকার অনুমোদিত একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মনিরাম (মুন্সিপাড়া) গ্রামের মৃত্য একরামুল হক, এর পুত্র বাবুল আখতার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা
সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর উক্ত ক্লাবের নিবন্ধন বাতিলসহ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত একাধিক বার আবেদন করেন।
স্থানীয় গংগাচড়া মডেল থানার অভিযোগ ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
সুনীতি প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মৃত মোফাজ্জল হোসেন (চটকু সাহেব)
ও জমি দাতা মৃত আফজালুল হক (হিরু) উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।তাদের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কমিটির সদস্যরা ২০০৬ সাল নাগাদ
নিজেদের সুবিধামত সেটি অন্যত্র স্থানান্তর করে বকশিগঞ্জ তালুকভূবন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ হিসেবে ভাড়া দেয়।আব্দুল মালেক, জলিল, মোখলেছুর পরবর্তীতে ১৯ সালে জমিজমার দাম বৃদ্ধি পেলে বাবুল আখতারের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৩ শতাংশ ব্যাক্তিগত জমি যার
মৌজা- আলমবিদিতর, জে এল নং- ৭০, খতিয়ান নং- ২৯১, ডিপি খতিয়ান নং-৬৪২, দাগ নং- ৮০৪, জমির পরিমাণ ২০ শতক মধ্যে ০৬ শতক নালিশী।জবর দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেন কমিটির সদস্যরা।
অভিযোগ সূত্রে ঐ ক্লাবের সদস্য শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক, আব্দুল রহমান, আবদুল ৬ জন মিলে জবরদখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে পেশী এবং অর্থ শক্তিতে দখলে নিয়েছেন।
অবৈধ দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমবিদিতর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে কোর্টের আদেশে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলাম।তদন্তে জানতে পারি ৬ শতাংশ নালীশি জমির ৩ শতাংশ বাদির এবং ৩ শতাংশ বিবাদীর দখলে।
আমি সেটি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।এ ব্যাপারে গংগাচড়া উপজেলা সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা হানিফ উদ্দিন আহম্মদ এই প্রতিবেক কে জানায়, উক্ত ক্লাবের বিষয়ে ভিত্তি স্যার প্রতিবেদন চেয়েছিল আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার বক্তব্যে এবং প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বাবুল আখতারের অভিযোগের সত্যতা পেয়েও ব্যাবস্থা গ্রহণে গড়িমসির কারন জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় রংপুর সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আব্দুল মতিনের সাথে।
তিনি পুরো বিষয়টি শুনে কোনও সদুত্তর না দিয়ে কলটি কেটে দেন পরে তাকে একাধিক বার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তা আর রিসিভ করেনি।ভুক্তভোগী-মৃত্য একরামুল হক, এর পুত্র বাবুল আখতার এই প্রতিবেদক কে জানান।
অদৃশ্য শক্তির দাপটে আমার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৩ শতাংশ ব্যাক্তিগত জমি দখল করে প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতির সদস্যরা দোকানপাট নির্মাণে করেন।আমি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক
বরাবর উক্ত ক্লাবের নিবন্ধন বাতিলসহ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত একাধিক বার আবেদন করি এমন কি গংগাচড়া মডেল থানায় তাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
তাই আমি জাতির বিবেক ও সমাজের আয়না সাংবাদিক ভাই দের দ্বারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ পৌছাইতে চাই দয়া করে আমার এই বিষয় টি স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা দেখার জন্য।