পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষেক হামলায় আহত এক রংপুর মেডিকেল ভর্তি।
মাটি মামুন, রংপুর:
রংপুর নগরীর ৪নং ওয়ার্ড আমাশু কুকরুল গলাকাটার মোড়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষেক হামলায় আহত মিলন রায় রংপুর মেডিকেল ভর্তি।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল ২৫ এপ্রিল রাত ০৭ /৩০ মিনিটি এর দিকে রংপুর নগরীর ৪নং ওয়ার্ড আমাশু কুকরুল গলাকাটার মোড় এলাকায় ভোলার চায়ের দোকানের সামনে সুমন মিয়া ও তার
গুন্ডা বাহিনী এসে অতর্কিত হামলা চালায় মিলন এর উপর।স্থানীয় মোতাহার হোসেন, ভোলা মিয়াসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উক্ত আসামীরা ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
গুরুতরো অবস্থায় মিলন রায় কে অটোরিকশা যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।বর্তমানে মিলন রায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরো সার্জারী বিভাগের ১৯ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
মিলন রায় এর চাচাতো ভাই ফুল বাবু (৩৬), পিতা-মৃত ধরণীকান্ত পরশুরাম থানায় বাদি হয়ে ৭ জন অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন ১। মোঃ সুমন মিয়া (৩০), ২।
মোঃ কামাল হোসেন (৩৫), ৩। মোঃ কামরুল ইসলাম (৩৮), সর্ব পিতা-মৃত আঃ খালেক, সাং-কুকরুল(দক্ষিণটারী), ৪) মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৫),
৫। মোঃ এরশাদ মিয়া (৪০), উভয় পিতা-মোঃ মহুবার রহমান,৬। মোঃ শাহাজাহান (৩৫), পিতা-মোঃ মহুবার হোসেন,৭। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদল (৩৯)পিতা-মৃত সিরাজুল ইসলাম, সাং-রাধাবল্লভ
(ইসলামপুর হুনুমানতলা), থানা-কোতয়ালী, রংপুরসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।মামলায় উল্লেখ করেন উক্ত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ করে আসছে।
এমতাবস্থায় ইং ২৫/০৪/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৭.৩০ মিনিট এর সময় আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় (৩৫), পিতা-মৃত হেমন্ত চন্দ্র রায়, সাং-কুকরুল (গলাকাটা মোড় পশ্চিমপাড়া), থানা-পরশুরাম
কুকরুল গ্রামন্থ গলাকাটা মোড়ের পশ্চিম পাশে ভোলা মিয়া (৬০) এর চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। ঐসময় বর্ণিত আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় এর সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
তখন আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ৭নং আসামীর হুকুমে ১নং আসামী তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় এর মাথায় কোপ মারে।
যার ফলে উক্ত কোপ আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় এর মাথার মাঝখানে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
তখন আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় মাথা চেপে ধরে মাটিতে পড়ে গেলে সকল
আসামীরা এক সাথে আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় এর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে ছিলা ফোলা জখম করে।
আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় এর ডাকচিৎকারে সাক্ষী ১। মোঃ মোতাহার হোসেন (৩৮), পিতা-অজ্ঞাত, ২। মোঃ ভোলা মিয়া (৬০), পিতা অজ্ঞাত সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে আসলে উক্ত আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থূল ত্যাগ করে।
আসামীদের মারধরের কারণে আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সাক্ষীগণ তাকে উদ্ধার করে একটি অপরিচিত অটোযোগে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।
বর্তমানে আমার চাচাতো ভাই মিলন চন্দ্র রায়
হাসপাতালে নিউরো সার্জারী বিভাগের ১৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।এবিষয়ে রংপুর মেট্রো পরশুরাম থানার ওসি রবিউল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে
তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান আমি ঈদের ছুটিতে আছি তবে বাদি পক্ষ এজাহার দিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে আসামী কে আমরা গ্রেফতার করবো।