মুগ ডালের বাম্পার ফলন
পটুয়াখালীতে শ্রমিক সংকটে ডাল তোলা ব্যাহত
সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পয়াখালীর দশমিনায় এ বছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা ও কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার কারণে মুগ ডাল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় এমন ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষক। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এক সময় আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন আমন ধানের পাশাপাশি বোর ধান, তরমুজ, সূর্যমুখি, ভুট্রা ও মুগ ডাল চাষ করছেন তারা। তবে খেত থেকে ডাল তোলায় শ্রমিক সংকটের কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবী কৃষকের।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১১হাজার ৯শ’ ৩৫হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়। যা গত বছরের তুলনায় ১৮৫ হেক্টর কম।
এদিকে, বোর ধান, তরমুজ, সূর্যমুখি ও ভুট্রা চাষ বৃদ্ধির ফলে মুগ ডাল চাষ কমেছে বলে দাবী কৃষি অফিসে।উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক আলতাব হোসেন, ইউনুস, নশা মিয়া ও খলিল তালুকদার বলেন, এবার সাড়ে ১১একর জমিতে মুগ ডালের আবাদ করা হয়েছে।
ফলনও ভালো হয়েছে তবে শ্রমিক সংকটের কারনে ডাল তুলতে পারছেন না। তাদের দাবী ঈদের কারণে অনেক শ্রমিক কাজে আসছেন না। এ কারণে কিছু ডাল খেতেই ঝরে যাচ্ছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাস পাড়া গ্রামের কৃষক সংকর চন্দ্র, জামাল হাওলাদার, সবুজ মৃধা ও শহিদুল হোসেন বলেন, ঈদের আগে ডাল শ্রমিকদের
এক-তৃতীয়াংশ দিতে হতো এখন শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের ডালের অর্ধেকটা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে।অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ ও আধুনিক কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার
কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ। তিনি আরো বলেন,
রবি মৌসুমে এখানে তরমুজের পরই বেশিরভাগ জমিতে মুগডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম দেয়ার কারণে কৃষকরা এ ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী।