আবু তালেব,স্টাফ রিপোর্টারঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মজিদুল ইসলামের বিষ প্রয়োগে ছপি মিয়া নামের একজন খামারির প্রায় ৫০ টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে।গত ৩ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলাধীন আলমবিদিতর ইউনিয়নের সয়রাবাড়ী
কাচারীপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র ছপি মিয়ার খামারের প্রায় ৫০ টি হাঁসকে বিষ প্রয়োগ করে মারে তার প্রতিবেশী মৃত নছর উদ্দিন এর পুত্র আব্দুস সামাদ ও তার পুত্র মজিদুল ইসলাম।
ছপি মিয়া বলেন, বিগত কয়েক বছর হলো আমার প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের কাছে জমি ক্রয়ের জন্য ৪৬,০০০/-( ছেচল্লিশ হাজার) টাকা প্রদান করি। কিন্তু টাকা নিয়ে আমাকে জমি না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাল বাহানা করে যাচ্ছে। টাকা চাইতে গেলে বলে আমি তাকে কোন টাকা দেই নি।
উক্ত বিষয়টি গ্রামের মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের কাছে জানাই। তারা সামাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে মেম্বার তাকে কৌশলে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে যে জমি দেয়ার জন্য টাকা নেয়। উক্ত কথাটি মেম্বার বাজারে সকলের সামনে প্রকাশ করে দিলে তার সম্মানে লাগে। আর তখন থেকেই সামাদ টাকা না দিয়ে আমার সাথে বিভিন্ন কৌশলে গায়ে পড়ে কলহ-বিবাদ করে ক্ষতি সাধন করার সুযোগ খুঁজে আসতে থাকে। আমি একজন খামারি। আমার খামারে সর্বমোট ৬২০ টি হাঁস।
বিগত ৪-৫ দিন ধরে আমার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার পশ্চিমে ফাঁকা একটি মাঠ ক্ষেতের নালা আছে। সেখানে আমি হাঁস গুলোকে আদার খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাই। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নালার সাথে থাকা সামাদের জমিতে সামাদ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিষ প্রয়োগ করে আমার প্রায় ৫০ টি হাঁসকে মেরে ফেলে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা।
বিষ খেয়ে হাঁস গুলোকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমি ও আমার মা মনোয়ারা বেগম আর্তনাদ আহাজারি করতে থাকি। আমাদের আর্তনাদ শুনে আশপাশ থেকে অনেক লোক এগিয়ে আসে এবং ঘটনাটি স্বচোখে দেখে। তাদের পরামর্শে মৃত হাঁস গুলি আমি বাড়িতে নিয়ে আসি এবং স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তির কাছে বিচার চাই। বিচার দেয়ার কারণে জনসম্মুখে তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করাবে বলে জানায়।
এলাকাবাসী ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবলা প্রাণী হত্যার মাধ্যমে ছপির ক্ষতি করায় সামাদ ও তার ছেলের সুবিচার চায়।ঘটনার পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে সুবিচারের জন্য গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করি।