নিজস্ব প্রতিবেদক, সত্যকন্ঠ:
অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন কুষ্টিয়া সহ কয়েকটি জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থী
অপরাধ জগতের পথ ছেড়ে আত্মসমর্পন করেছে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ি, কুষ্টিয়াসহ দেশের ৭ জেলার নিষিদ্ধ ঘোষিত ৪ টি চরমপন্থি সংগঠনের ৩১৫ সদস্য।
২১৯ আগ্নেয়াস্ত্রসহ চরমপন্থি সদস্যদরা আত্মসমর্পন সিদ্ধান্ত নেয়ায় । রোববার (২১ মে-২৩) দুপুর ১.৩০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ সদর দপ্তরে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) লাল পাতা ও সর্বহারাসহ বেশ
কয়েকটি চরমপন্থী দলের ৩১৫ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। এতে অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসায় খুশি চরমপন্থি সদস্যদের স্বজনেরাও। আর চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণের খবরে স্বস্তিতে চরমপন্থী বা সর্বহারা অধ্যুষিত এলাকার মানুষেরা।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর নিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল।
এক সময় এ অঞ্চলের আতঙ্ক ছিলো বেশ কয়েকটি চমরপন্থি ও সর্বহারা সংগঠন। সর্বহারা, চরমপন্থী, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, লাল পতাকা সংগঠনের নাম শুনলেই আতকে উঠতো এ জনপদের মানুষ।
নিষিদ্ধ ঘোষিত এসব সংগঠনের সদস্যরা খুন, জখম ও লুটপাটসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে থাকতো সব সময়। র্যাবের কয়েক মাসের নিরলস পরিশ্রমে এখন অপরাধের অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে আসছেন তারা। আর এ সকল কাজে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয় র্যাব।
নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরায় খুশি পরিবারের সদস্যরাও। আর চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার খবরে স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মাঝেও।
অপরাধ জগৎ থেকে সরে এসে আত্মসমর্পণ করায় চরমপন্থিদের প্রশিক্ষিত করে পুনর্বাসনসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, আত্বসমর্পনকারি চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথকে মসৃন করতে সকল ভূমিকা পালন করবে সরকার।
আত্বসমর্পনকারিদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগতম। একই ভাবে এখনো চরমপন্থা অবলম্বনকারিদের কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই র্যাবকে সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, আধুনিক করা হচ্ছে, কেউ যদি ভাবেন পালিয়ে পার পাবেন সেটা হবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, নিজেদের আদর্শিক দ্বন্দে এরা নানা নামে বিভক্ত, কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এরা সকলেই এক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রথম চরমপন্থিদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে তাদের।