মুসলিম জাহানের জন্য কুরবানি করা মহান আল্লাহর নির্দেশ। পবিত্র ঈদুল আযহা ও কুরবানি ইসলামের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ও আত্মত্যাগের অনন্য ইবাদত। আত্মত্যাগ ও মানবতার বার্তা নিয়ে প্রতিবছরই মুসলিম উম্মাহর সামনে হাজির হয় এই উৎসব। পবিত্র ঈদ উল আযহায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা হলো কুরবানির পশু। ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন এর প্রায় ৮০কেজি ওজনের গবাদিপশু ছাগল (খাসি) প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি খামার ঘুরে জানা যায়, সদর উপজেলার চাংলা গ্রামে প্রায় ৮০কেজি ওজনের একটি ছাগল (খাসি) অনেক যত্নসহকারে পরিচর্যা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুত করেছে ভালো দামের আশায়। খাসিটি লালন-পালন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি । খরচ বেশি হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে আশা করছেন তিনি।
এব্যাপারে চাংলা গ্রামের সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি অনেক যত্ন ও পরিচর্যা করে একটি ছাগল (খাসি) লালন-পালন করে ক্রেতার মনের মত করে তুলছি। আগামী ঈদুল আজহার পশু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হলে আমি খাসি টি বিক্রয় করব। অবশ্য একাধিক ব্যাক্তি ৫০ থেকে ৫২হাজার টাকা দাম বলেছেন আমি বিক্রয় করিনি, শেষমেশ ৬০হাজার টাকা খাসিটির দাম রেখেছি এখন কেউ কিনতে চাইলে সরাসরি খাসি দেখে দাম দর করে নিতে পারবেন । দুই বছর আগে আমি এই ছাগলের খাসির বাচ্চাটি বাজার থেকে ১১হাজার টাকায় কিনে ছিলাম। খাসি টিকে লালন-পালন করতে আমার প্রায় ৫০হাজার টাকা খরচ হয়েছে খাসি টি এখন প্রায় ৮০কেজি ওজন হয়েছে।
খবর পেয়ে ছাগল (খাসি) টিকে দেখতে (২৮ই’ মে) সাংবাদিক ফিরোজ হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাংলা খাসি টি পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হক।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, এটি যমুনা পাড়ি জাতের ছাগল খাসি। এর ওজন প্রায় ৮০ কেজি। এ উপজেলার চাংলা গ্রামের সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন প্রায় ৮০কেজি ওজনের একটি ছাগল (খাসি) লালন- পালন করে ক্রেতার মনের মতো করে তুলছেন এটা আমাদের জন্য গর্ব। খাসিটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। যমুনা পাড়ি জাতের ছাগল এই খাসি টিকে দেখে আগামীতে এ উপজেলার পশু পালন ও খামারিদের যাতে আরও উৎসাহ জাগে। খামারিরা যেন যমুনা পাড়ি জাতের ছাগল লালন -পালন করতে সক্ষম হয় এবং লাভবান হতে পারে এজন্য সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে ।
পরিশেষে, তিনি সাংবাদিক ফিরোজ হোসেনকে ছাগল লালন পালনের বিভিন্ন পরামর্শ ও ছাগলের জন্য কিছু ঔষুধ প্রদান করেন।