অবশেষে জেল হাজতে গেলেন সোনা মিয়া হত্যা মামলার মুল আসামি আঃ রাজ্জাক
মাটি মামুন রংপুর।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলাধীন জয় বাংলা বাজারে, গত ২৪শে এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রীর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের জেরেই, ঐদিন রাত আটটার সময় খানসামা বাজারের ঈমামগঞ্জ স্কুল এণ্ড কলেজের গেইটে সোনা মিয়া (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে।
এরই জেরে ২৬শে এপ্রিল কাউনিয়া থানায় ৭৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান সোহেল।মামলা রেকর্ড হবার পরে ৮ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় কাউনিয়া থানা পুলিশ। এবং মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন নেন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি ও কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
অপরদিকে মামলার ২নং আসামী রাজ্জাকের বড়ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রাজু ঘটনার পর থেকেই পলাতক।মহামান্য হাইকোর্টের ৪ সপ্তাহ জামিন শেষে ৫ জুন রংপুরের বিজ্ঞ জজ আদালতে বিচারিক জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, রংপুর।
পুনরায় জামিনের জন্য গেলে, বিজ্ঞ আদালত জামিন শুনানি শেষে নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।এবিষয়ে নিহত সোনা মিয়ার বড় ছেলে ও মামলার বাদী আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন-গত ২৪শে এপ্রিল মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সির ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠানে শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্রকরে আমার পিতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে, ২নং হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রাজু আহম্মেদ ও তার ছোট ভাই উপজেলার ভাইস্ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের বাহীনিরা।
আজ ৪২ দিন পরে হত্যার মুল আসামী রাজ্জাককে, রংপুরের বিজ্ঞ জর্জ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।তবে এখন পর্যন্ত তার বড়ভাই আমার বাবাকে হত্যার মুল আসামী পলাতক আছে। আমরা রংপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করে বলতে চাই, আমার বাবাকে হত্যার নেপথ্যে যারা মদদ দিয়েছে, হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
সোহেল আরও বলেন- আমার খুনিরা বাবাকে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা নানান ফন্দিফিকির করে হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
তাদের অপকৌশল হিসেবে গত ২৬শে মে আমাদের বাড়িতে ভুয়া গোয়েন্দা পরিচয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া সহ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আনারুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদীন সাহেব জান।
তারা গিয়ে আমাদের পরিবারের সবার মাঝে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এবং আমার মরহুম পিতাকে বিএনপি কর্মী বানানোর অপচেষ্টাও চালিয়ে যান। পরে আমরা নিরুপায় হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।সোনা মিয়ার হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামির জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোয় ২নং হারাগাছ ইউনিয়নসহ কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী বিজ্ঞ আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- অনতিবিলম্বে সোনা মিয়ার খুনিসহ এই হত্যাযজ্ঞের সাথে জরিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি মদদদাতা ও আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।উল্লেখ্য-
হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। ১নং আসামি ডানে দাড়ি ছাড়া। ২নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামি রাজু দাড়িওয়ালা।