যশোরের ঝিকরগাছায় জমি-জমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মহিলাকে পিটিয়ে জখম
শফিকুল ইসলাম, সত্যকন্ঠ; বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের ঝিকরগাছায় জমি- জমা দন্দ্বের জের ধরে গত ( ১৪) জুন বুধবার নুরুন নাহার রুমা নামের এক জন মহিলাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। সে মল্লিকপুর গ্রামের হেলাল খান তোতার স্ত্রী এবং বর্তমানে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে তার নিজ বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন এমন সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় । তার মেঝ ভাসুর মিলন হোসেনর স্ত্রী হিরা বেগম ,ইতি সহ আরো তিন জন মিলে এলোমেলো মারতে মারতে আহত করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন , তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উল্লেখ্য থাকে যে,যশোরে জমি-জমা নিয়ে দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ নতুন কোনো ঘটনা নয়। যুগ যুগ ধরে এ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। খুনোখুনিও হচ্ছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে । জমি নিয়ে বিরোধ ছড়িয়ে পড়েছে। জমি নিয়ে বিরোধে চলতি বছরের কয়েক জন খুন হয়েছেন । আহত হয়েছেন কয়েকশো । প্রশ্ন জাগে সঠিক বিচারের আশায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন,আর যদি প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তারা পক্ষ পাতিত্ব করে এবং পক্ষ নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। তাহলে ভুক্তভোগীরা সঠিক বিচার পাবে কোথায় ?
প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে সামাজিক অস্থিরতা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ একজন মহিলা পুলিশ সিভিল পোশাকে এই হামলার সাথে জড়িত ছিলেন, সে আরও বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হোক। এই ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ঝিকরগাছা, যশোরের বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যে- জমি নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই, ভাতিজার হাতে চাচা, সন্তানের হাতে পিতা ও শরীকের লোকজন অহরহ খুন হচ্ছেন। কথা হলো মীমাংসার জন্য সামাজিক শালিস-বিচার আছে, আছে বিচার বিভাগও। বিষয়টি নিয়ে এভাবে আইন হাতে তুলে না নিয়ে প্রতিপক্ষ সামাজিক অথবা রাষ্ট্রীয় বিচার বিভাগের কাছে যেতে পারতো।
পেশি শক্তি দেখালে তো নৈরাজ্যের সৃষ্টি হবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে সমাজে অশান্তি দেখা দেবে। বিভিন্ন স্থানে হচ্ছেও তাই। কিছু মানুষ আছে যারা আইনের পরোয়া করে না। তারা আইন হাতে তুলে নিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
একটি স্বাধীন দেশের মানুষ জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে এটাই তো নিয়ম। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, দেশের সব মানুষেরও।