সারিয়াকান্দিতে পুলিশ সদস্যর স্ত্রী কর্তৃক বিধবার বাড়ীতে হামলা ও ভাঙচুর
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৯২বছর ধরে দখলে থাকা বিধবার জমি জোর করে দখল করতে পুলিশ সদস্যর স্ত্রী কর্তৃক হামলা, ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কাজলা মধ্যপাড়া গ্রামে মরহুম আব্দুল খালেকের বিধবা স্ত্রী জহুরার বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। হেল্প নম্বর ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘনটাস্থল পরির্দশন করেন। থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
সরেজমিনে গেলে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানের ছেলে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে লাল মিয়ার স্ত্রী শারমীন আক্তার সহ শহিদুলের ছেলে নাজিরুল, জবেদ ও তার ছেলে ছাইফুল ইসলাম এবং ইসমাইলের ছেলে রবিদের নাম উল্লেখ করে থানা লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী পরিবার।জহুরা বেওয়ার ছেলে মানিক মিয়া জানায়, পতিপক্ষরা তাদের বাড়ির পাশে বসবাস করেন। তাদের বসত বাড়ী নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষরা তাদের বাড়ী জোর করে ভোগ দখল করার পায়তারা করছে। তার জের ধরে গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রীর নেতৃত্বে ৫/৬জন বসত বাড়ীতে হামলা করে। এ সময় নির্মানাধীন প্রাচিরের বাউন্ডারী, টিনের বেড়া এবং ছাদের টিনে ভাঙচুর করে ক্ষতি করে। বিধবা জহুরা ও প্রতিবেশীরা বাঁধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাধীরা চলে যান এবং মামলা সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় সারিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ নিতে গরিমসি করেন।
হামলার বিষয়ে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাড়ি ভাংচুর বা মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাদের কাছ থেকে এক মাসের সময় চাওয়া হয়েছিল এলাকায় বসে একটা মিমাংসা করা হোক কিšু‘ তারা দুই দিন পার হতে না হতেই ইট দিয়ে বাড়ীর প্রাচির নির্মাণ শুরু করেছে।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সকালে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।