মনপুরার ২ জেলে অপহরণ, ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী
সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলার মনপুরা ও হাতিয়া সীমান্তবর্তী মেঘনায় ইলিশ শিকারের সময় ৩ জেলে ট্রলারে হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী হামলা চালায়। এই সময় জলদস্যুরা এলোপাতাড়ি মারধর করে ৩ ট্রলারে থাকা মাছ, মালামালসহ জেলেদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে ২ মাঝিকে অপহরণ করে হাতিয়ার গহীন বনে নিয়ে যায়। অপহৃত দুই মাঝির মুক্তিপণ হিসাবে তিন লক্ষ টাকা দাবী করছেন জলদস্যুরা।
জেলে ট্রলারে হামলা ও অপহৃত দুই জেলের মুক্তিপণ হিসাবে তিন লক্ষ টাকার সত্যতা নিশ্চিত করেন অপহৃত জেলেদের আড়তদার বাবু মোহনলাল চক্রবর্তী ও জেলে পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টায় ভোলার মনপুরা ও নোয়াখালী হাতিয়ার সীমান্তবর্তী উড়ির চর এলাকা সংলগ্ন মেঘনায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১২ টায় অপহৃত জেলে পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে ফোন করে জনপ্রতি দেড় লক্ষ টাকা করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে জলদস্যুর মহিউদ্দিন বাহিনী। অপহৃত জেলেরা হলেন, রহিম ও সুজন মাঝি। এদের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামে। এছাড়াও জলদস্যুদের মারধরে আহতরা হলেন, সাহেদ, সাগর, শামীম, সাহিদ, জুয়েল, মহিউদ্দিন, হাবিব, শরিফ, রাসেদ, ছিদ্দিক, জাহাঙ্গীর, নিজাম ও কালু। এদের সবার বাড়ি একই এলাকায়। জেলেদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৭ টায় হাতিয়া ও মনপুরার সীমান্তবর্তী উড়িরচর সংলগ্ন মেঘনায় জাল পেতে মাছ শিকারের সময় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী হামলা চালায়। এই সময় জলদস্যুরা শর্টগানের গুলি করে। পরে তিন জেলে ট্রলার একত্রিত করে হামলা করে। তিন ট্রলারে থাকা জেলেদের মারধর করে মাছ, মালামাল ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যায়। জলদস্যুরা যাওয়ার সময় দুই ট্রলার থেকে রহিম ও সুজন মাঝিকে অপহরণ করে হাতিয়ার গহীন বনে নিয়ে যায়। পরে বেলা ১২ টায় অপহৃত দুই জেলে পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে ফোন করে দুই জেলের মুক্তিপণ বাবদ তিন লক্ষ টাকা দাবী করে জলদস্যুরা।
এই ব্যাপারে অপহৃত জেলেদের আড়তদার বাবু মোহনলাল চক্রবর্তী জানান, উড়ির চর সংলগ্ন মেঘনায় মাছ শিকারের সময় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী হামলা চালিয়ে দুই জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও জেলে ট্রলারে থাকা মাছ, মালামালসহ মুঠোফোন নিয়ে যায়। দুই জেলে মুক্তিপণ বাবদ তিন লক্ষ টাকা দাবী করছে জলদস্যুরা বলে জানান তিনি। এই ব্যাপারে মনপুরা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ হানিফ জানান, জেলে অপহরণের ঘটনা আমারে কেউ অবহিত করেনি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, আপনার কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।