ডেঙ্গু আতঙ্ক রমেক, ভর্তি ১০ জন সাধারণ রোগীদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের
মাটি মামুন শিকদার।
রংপুরেও ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার একজন মারা গেছেন আক্রান্ত হয়ে।হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১০ জন।রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট না খোলায় সাধারণ
রোগীদের সঙ্গে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে। এতেঅন্যদের আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ছে।সরেজমিন ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ২৯ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের আলাদা না রেখে অন্য রোগীদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া এই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করারও ব্যবস্থা নেই।ঢাকার একটি বেসরকারি শিক্ষার্থী সাকিব সৌখিন ঈদের ছুটিতে লালমনিরহাটের বাসায় আসেন। তিন দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বরের কারণে লালমনিরহাটে হাসপাতালেভর্তি হন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এখানে পাঁচ দিন ধরে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসানিচ্ছেন। বাইরে থেকে পরীক্ষা করানোর পর তাঁর
ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
তিনি অভিযোগ করেন, এ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদেরওষুধ দেওয়া হয় না। ডাক্তাররাও ঠিকমতো আসেননা। ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ইউনিটে রাখার ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সাধারণ রোগীদের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে।চিকিৎসাধীন কুড়িগ্রামের ফরহাদ হোসেনস জানান, তিনি ঢাকার সাভারে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে এই হাসপাতালে ভর্তি হন।কিন্তু হাসপাতালে ডেঙ্গু বিষয়ে কোনো ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হয় না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষার পর তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।
হাসপাতালে ঠিকমতো ডাক্তার আসেন না। তাঁরপ্রয়োজনীয় চিকিৎসাও মিলছে না বলে অভিযোগকরছিলেন রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার ডেঙ্গু রোগী সালেকুজ্জামান।
একই অভিযোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্বজন মোসলেম উদ্দিনের সৎসাধীন অবস্থায় গান রোগীর ওয়ার্ডে ভর্তি সাধারণ রোগী আকবর মেডিসিন ওয়ার্ডের তিনটি ইউনিট।
আলীর ভাষ্য, এত বড় হাসপাতালে মাত্র কয়েকজন ডেঙ্গু রোগী রাখার জায়গা নেই! একসঙ্গে রাখলে অন্য কারও তো ডেঙ্গু হতে পারে।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন সবাই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রংপুরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রংপুর সদর হাসপাতাল কলোনির বাসিন্দা হরিজন মানু লালের ছেলে বুলেট লাল (৩৮) মারা যান। তিনি ঢাকা হাইকোর্ট এলাকায় কাজ করতেন।সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চলে আসেন।অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সোমবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রোগীদের ঠিকমতো সেবা না পাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে তিনি বলেন, দ্রুত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।রংপুর মহানগরীতে বর্তমানে এডিস মশা কিংবা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানানরংপুরের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনিবলেন, রংপুরে ডেঙ্গু নেই বললেই চলে। তবু রংপুরসিটি করপোরেশন ডেঙ্গু রোধে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ
করেছে। মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কাজে দুই
শতাধিক কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।