গত ০২/০৬/২০২৩ খ্রি. বেলা অনুমান ১১:০০ ঘটিকায় একটি অপরাধী চক্র টেকনাফে সুপারি পাড়া ও গাড়িতে তোলা কাজের প্রলোভন দেখিয়ে উখিয়া ক্যাম্প-১৩ এর ৩ জন- ১. মোহাম্মদ হাসান (১৪), পিতা- সোনা মিয়া, ২. আনিসুর রহমান (১৩), পিতা- মোহাম্মদ তাহের ও ৩. নুর আলম (১৫), পিতা- আব্দুল আমিন দের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভিকটিমদের অবৈধভাবে আটকে রেখে তাদের অভিভাবকদের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করতে থাকে।
গত ০৬/০৭/২০২৩ খ্রি. ১২:০০ ঘটিকায় একই অপরাধী চক্র একই কায়দায় এফডিএমএন ক্যাম্প-১৩ ও আশপাশের এলাকা থেকে আরও ৬ জন- ১. সৈয়দ নূর (১২), পিতা: ইলিয়াস, ব্লক: ডি/২, ২. সৈয়দুল মোস্তফা (১১), পিতা: নূর মোহাম্মদ, ব্লক:ডি/২, ৩.ওসমান(১৩), পিতা:জমির হোসেন,ব্লক:ডি/১, ৪. রিমন(১৫)- বাংলাদেশী, পিতা: শমসু আলম, ৫. কামাল মোস্তফা (১৪), পিতা: মোহাম্মদুল্লাহ, ব্লক- সি/৪, ক্যাম্প-১৯, ৬. হারেছ (১২), পিতা: বশির আহম্মদ, ব্লক -বি/২, ক্যাম্প-১৩, সর্ব মোট ০৬ (ছয়) জন কিশোর ছেলেকে অপহরণ করে টেকনাফে নিয়ে যায়।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ৮ এপিবিএন এর সম্মানিত অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) জনাব মো: আমির জাফর বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় জনাব মো: ফারুক আহমেদ সহকারী পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মো: রবিউল ইসলাম, এসআই (নি:) সঞ্জয় দত্ত সঙ্গীয় ফোর্স সহ বিভিন্ন উৎস ও স্থান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফে অভিযান পরিচালনা করে অদ্য অপহৃত ০৩ (তিন) জন ১. সৈয়দ নুর(১২), পিতা: ইলিয়াস, ক্যাম্প- ১৩, ২. মো: হাসান, পিতা- সোনা মিয়া, ক্যাম্প-১৩ ও ৩. আনিসুর রহমান, পিতা- মো-তাহের, ক্যাম্প ১৩ দেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। একইসাথে উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এবং টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে এই অপহরণ চক্রের ০৯ (নয়) সদস্য ১. নুরুল আমিন (৩২), ২. মো: ফয়সাল (১৮) ৩. শফিকুল (১৮) ৪. সাইফুল ইসলাম (২২) ৫. মিজানুর রহমান (১৮) ৬. আব্দুর রহমান (১৭) ৭. মোহাম্মদ পারভেজ (১৪) সর্ব থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, ৮. মো: মোবারক (১৭) ৯. এফডিএমএন সদস্য মো: আমিন (১৭) দেরকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এ চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা হতে সুপারির কাজ/ অন্য কোন কাজের প্রলোভনে টেকনাফ এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের ভিতরে নির্জন স্থানে বিশেষ কৌশলে আটক রাখে। অত:পর ভিকটিমদের চোরা পথে নৌকাযোগে মায়ানমার এর শামিলা এলাকায় প্রেরণ করতঃ আটক রেখে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের নিকট সুকৌশলে বড় অংকের টাকা আদায় করে মুক্তি দেয়। অনেক সময় এই অপরাধ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও বিস্তৃত তদন্তের মাধ্যমে অপহৃত অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।