এ জেড সুজন মাহমুদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে সরকারি খাল কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর ২০২২) উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বিজয়পুর মহল্লায় বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বিজয়পুর গ্রামের এক পক্ষের নজির উদ্দিনের ছেলে মো. আজগর আলী (৫০) ও মো. মকবুল হোসেন (৫২), দিদার উদ্দিনের ছেলে মৃদুল (১৭), মকবুল হোসেনের মেয়ে মিথিলা (১৮), রাজার ছেলে মামুন (১৮), রফিজের ছেলে মানিক (৫০) এবং কালুর ছেলে হাসান (২০)। একই গ্রামের অপর পক্ষের আবুল হোসেনের ছেলে হাসান (২০), রাজা মিয়া (৪৫), রাজা মিয়ার স্ত্রী মিতা (৩৫), মাহফুজের স্ত্রী আঁখি (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বিজয়পুর মহল্লার হাসান গ্রুপ ও মকবুল হোসেন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। শনিবার সকালে বিজয়পুর মহল্লায় জমিতে সরকারি খাল কাটাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলমগীর হোসেন আলম বিষয়টি প্রাথমিকভাবে মিমাংসা করে দিলেও বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলমগীর হোসেন আলম বলেন, বিষয়টি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানিয়ে ঘটাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিমাংসা করে দিলেও ফেরার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহত মকবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে মানিকের বাড়ির কাছে পৌঁছালে ৫/৬ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত আজগর আলীর মেয়ে আনিকা (১৭) বলেন, তার আহত বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মধুবাড়ি মহল্লার বাবুর বাড়ির নিকট পৌঁছালে কয়েকজন দ্বিতীয় দফায় আক্রমন করে। অবস্থার বেগতিক দেখে তারা বাবুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
আহত হাসান আলী বলেন, মকবুল হোসেন ও তার লোকজন পিটিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।