বাবার বিরুদ্ধে পালিত পুত্রকে হত্যার অভিযোগ
এইচ,এম,পান্না
//বরিশাল জেলা প্রতিনিধি//
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মিয়ারচর গ্রামে সাতবছরের পালিত শিশু পুত্র তানজিমুল হক ফাহিমকে তার বাবা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সদ্য তালাকপ্রাপ্ত মৃত ফাহিমের পালিত মা ফেরদৌসী বেগম।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে মর্গে প্রেরণ করেছেন।
সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. শাহীন জানান, অপমৃত্যু না হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন চৌকিদারের কন্যা ফেরদৌসী বেগম (৩০) অভিযোগ করেন,
সদ্য তালাকপ্রাপ্ত তার স্বামী মিয়ারচর গ্রামের মজিবর রহমান চৌকিদারের ছেলে এনামুল হক চৌকিদার (৪৪) দ্বিতীয় বিয়ের করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে শিশু ফাহিমকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য ফাহিমের লাশ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, ২০০৮ সালে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিলো। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান হয়নি। ফলে তাদের সংসার জীবনে চরম অশান্তি নেমে আসে। এরপর বিগত সাত বছর পূর্বে তারা একটি পুত্র সন্তান সংগ্রহ করে লালন পালন করেন। ফেরদৌসী বেগম আরও জানান, এতেও এনামুলের সন্তানের চাহিদা পূরন না হওয়ায় সম্প্রতি অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রায়ই তাকে শারিরিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে গত ১৫ জুলাই তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলেও পালিত পুত্র ফাহিমকে এনামুল তার কাছে নিয়ে যায়।
ফেরদৌসী বেগম বলেন, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে পানিতে ডুবে ফাহিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে মিয়ারচরের এনামুলের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই মৃত ফাহিমের মুখের মধ্যে ভাত রয়েছে। এ থেকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয় খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে শিশু ফাহিমকে পরিকল্পিতভাবে এনামুল হত্যা করেছে। পরবর্তীতে ফাহিমের লাশ পানিতে ফেলে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে এনামুল হক চৌকিদার বলেন, ফেরদৌসী বেগমের সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, এখন সে আমাকে ফাঁসাতে এলাকায় নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে পালিত পুত্র ফাহিম পানিতে ডুবেই মারা গেছে। যা ময়নাতদন্তের রির্পোটেই প্রমানিত হবে।