রাঙামাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
রিপন মারমা রাঙ্গামাটি ,.
রাঙামাটিতে পাহাড়ি ঢলে নতুন করে আরও অনেক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
টানা বর্ষণের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সাথে সাথে দুর্গম উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পথে। সে কারণে ওইসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেও জানা গেছে। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার বাঘাইছড়ি, জুড়াছড়ি,বিলাইছড়িও বরকল উপজেলা
নিম্নাঞ্চলে নতুন করে অনেক বাড়িঘর ডুবে গেছে। বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমির ফসল নষ্ট হচ্ছে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে প্রশাসন।
বাঘাইছড়ির প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার তিনি জানান, উপজেলার পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ড এবং ৮টি ইউনিয়নের ৭টি ইউয়নিয়নের মানুষ পানিবন্দি। এখানে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। আর যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসেননি তাদের জন্য ১০ কেজি চাল,
৩ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল, কিছু শুকনা খাবার ও মোমবাতি প্যাকেট করে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আমি ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন জানান, বন্যায় ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫০ জন সেখানে অবস্থান করছেন। উপজেলায় বন্যায় ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৮ হাজার ৪০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন তাদের তিন বেলা খাবাারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসেননি তাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।0জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে সঠিক তথ্য ও ত্রাণ পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। জেলায় ২৪২টি আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে চার হাজার মানুষ অবস্থান করছে।