কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। রোববার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শান্তিনিকেতনজুড়ে খুশির হাওয়া বইছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ রকম একটি খবর পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, বিশ্বভারতীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি মানুষের কাছে এটি একটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে নথিভুক্ত করতে সুপারিশ করেছিল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস। এ বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসেই সৌদি আরবের রিয়াদে ৪৫তম বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভাও হয়। এরপরই টুইট করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করে ইউনেস্কো। ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তরফে শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল ইউনেস্কোর কাছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২০২১ সালের সংস্থার ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখে যায়।
১৯২১ সালে এশিয়ার প্রথম নোবেল পদকজয়ী রবীন্দ্রনাথ এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। দেশবিদেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যতম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অস্কার বিজয়ী চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এ স্বীকৃতিকে ‘সমস্ত ভারতীয়দের জন্য গর্বের মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন ‘যারা বাংলাকে ভালোবাসেন, রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভাতৃত্বের বার্তাকে ভালোবাসেন তাদের আমার কুর্নিশ।