বাঘারপাড়ার প্রত্যান্ত অঞ্চল ১১ খানের ঘোড়ানাছে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ
গোলাম রসুল বাঘারপাড়া (যশোর):
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের এগারো খানের ঘোড়ানাছ পশ্চিম পাড়া সার্বজনিন দূর্গামন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের বৃহৎ ধর্মীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
আগামী বাংলা আশ্বিন মাসের ৩/৪ তাং শুরু হবে দুর্গা (বড়)পূজা। সে উপলক্ষে এবার ঘোড়ানাছ পূজা উজ্জাপন কমিটি আগে ভাগে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছে। সরেজমিনে গিয়া কথা হয় বাবু নিমাই দাশের সংগে তিনি বললেন অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও পুজা হবে কিন্তু এ বছর একটু বড় আকারে হবে।
সামাজিক ভাবে পাড়ায় ছোট খাটো দ্বন্দ্ব ছিল সেগুলো প্রায় সব নিরসন হয়েছে। পাড়ার সকলে মিলেমিশে এবার পুজা করছি। একসাথে উৎসব করা কত আনন্দের তা এবার আমরা বুঝতে পারছি এর আগে অন্যান্য বছর পুজার সময় দেখা গেছে পাড়ার অনেকেই দুরদুরান্তে গিয়ে পূজা পার্বনের কাজ করত এবছর হয়ত সেইটা হবে না সকলে মিলেমিশে একসাথে আমাদের এ মন্দিরে পূজা করতে পারব।
সুদুর খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের চন্ডি পুরের ভাষকর সুজন শানা ও তার দুই সহকারী পুলকেশ সরকার ও অনুপম সরকার ঘোড়ানাছসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ৬/৮ খানা প্রতিমা তৈরী করবেন। এখন তারা কাদামাটির কাজে খুবই ব্যাস্ত।
এর রয়েছে রং ও তুলির সুক্ষ্ম কারুকাজ তাই তারা হাতে কাজ করছে আর মুখে কথা বলছে আমাদের রিপোর্ট সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত প্রতিনিধির সংগে। ভাষকরের নিকট জানতে চাওয়া হলো সংসার কি এই কাজের উপর দিয়ে চলে না-কি অন্য কোনো পেশা আছে উত্তরে বললেন এটা আমার বাপ দাদার পেশা তাই ধরে রেখেছি এতে জীবন জীবিকা চলে না।
এটা মৌসুমি কাজ বছরে একবার অন্যান্য সময়ে আমরা কৃষি কাজ করি ।পূজা উজ্জাপন কমিটির সভাপতি বাবু বলাই পাঠককে জিজ্ঞেস করা হলো আপনার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে তিনি বলতে পারলেন না। এইত হলো পুজা উজ্জাপন কমিটির নির্বাহি কর্মকর্তাদের কথা।