বাঁশখালীতে বাড়ছে আখ চাষ
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আখ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।ফলে অনেকে ঝুঁকে পড়ছেন আখ চাষে।উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নে পুর্ব গুনাগরীর চাষি আলি আকবর।
এই মৌসুমে করতেন আমন চাষ।তাতে খরচ উঠলেও লাভের মুখ দেখছিলেন না।তিন বছর ধরে আমন ছেড়ে আখ চাষ করছেন নিজের ৮০ শতক জমিতে।এখন খরচ বাদ দিয়ে এক মৌসুমেই ৯০ হাজার টাকার বেশি লাভ হচ্ছে বলে জানান তিনি।লাভ ভালো হওয়ায় আলী আকবরের মতো আরও অনেক চাষি এখন আখ চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের হিসাবে,পুরো উপজেলায় এখন আখচাষি ১০০ জনের বেশি। পাঁচ বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল ২০ থেকে ৩০ জন।জানাযায় ,প্রতিবছর আমনের চাষ করেন চাষিরা।কয়েক বছর ধরে ধানের দাম না পাওয়ায় তাঁরা বিকল্প ফসল আবাদের চিন্তা করেন।
এরই মধ্যে কয়েক মৌসুম থেকে আখের চারা লাগিয়ে চাষ শুরু হয়। চাষের সাফল্য আসায় এখন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়ছে আখের খেত।উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭২ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে।এই হিসাবের বাইরে চাষ হয়েছে
আরও ২০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত দুই বছর আগেও ছিল ১৮ হেক্টর আখের খেত। বছর বছর চাষ বাড়ায় কৃষকেরা খুশি।সরেজমিনে পূর্ব গুনাগরী এলাকার বিলে দেখা যায়,বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আখ।
চাষিরা খেতের এক পাশে চুরি ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন।কেউ কেউ খেত থেকে আখ কেটে আঁটি করতে ব্যস্ত। খেতেই পাইকারেরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।চাষি আলী আকবর আরও বলেন,আশপাশের সব জায়গাতে আখের চাষ হয়েছে।অনেকেই খেত থেকে বিক্রি করছেন।
আমিও ২০ শতকে চাষ করেছি।ফলন ভালো হওয়ায় চড়া দাম পাওয়া যাচ্ছে,আখের দিকে ঝুঁকে পরার কারণ আখ একবার রোপণ করলে ২/৩বছর ফলন পাওয়া যায়।খরচ কম লাভ বেশি আখ চাষে।কিনতে আসা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মুহাম্মদ সেলিম বলেন,
খেত থেকে তোলা প্রতিটি আখ অনুমান করে দরদাম করা হয়।এরপর সেই আকারের আখ আলাদা করে গাড়িতে করে বাজারে নেওয়া হয়।বড় আকারের প্রতিটির ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেহ বলেন, উপজেলায় গত কয়েক বছরে কৃষকেরা আখ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
আখ চাষ ক্রমে বাড়ছে। তিনি বলেন, দক্ষতা, পরিচর্যা, সঠিকভাবে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে আখের ফলন ভালো হয়।