পটুয়াখালীর কলাপাড়া: রঙীন আলোর উৎসব যেন গোটা শহর জুড়ে। সড়কের দু’পাশ সেজেছে আলোর মিছিলে। প্রতিটি মন্ডপের প্রবেশ পথে নির্মান করা হয়েছে আকর্ষনীয় তোরন। মন্ডপ থেকে ভেসে আসছে ঢাকের বাদ্য, ধুপের ধোঁয়া, শঙ্খ আর উলুধ্বনি। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে উৎসবের আমেজ। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার প্রতিটি পূজা মণ্ডপের একই চিত্র। সঙ্গে নাচ-গান-আরতি আর দেবী বন্দনা। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ এ উৎসবে মেতে উঠেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিশু, কিশোর সহ সব বয়সী মানুষ ।সোমবার হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় এ দূর্গা উৎসবে যোগ দিলেন জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ১১৪, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান মহিব এমপি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবকে আরও প্রানবন্ত করতে তিঁনি প্রতিটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান তুলে দিলেন আয়োজক কর্তৃপক্ষের হাতে। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, উপজেলার ১৮টি মণ্ডপে উদযাপন করা হচ্ছে শারদীয় দূর্গা উৎসব। এ বছর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।পৌর শহরের চিংগরিয়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলিপ হাওলাদার বলেন, ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। তবে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় এ উৎসব।মন্দিরের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক বলেন, জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি পাঁচ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আগত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন হাওলাদার জানান, এ উপজেলার ১৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে যোগ দিয়েছেন।স্থানীয় সাংসদ অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ রত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি প্রতিটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে তাদের উৎসবকে আরও প্রানবন্ত করতে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রিতিটি মন্ডপে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছি। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছি। মহিপুর থানার ওসি মো ফেরদৌস আলম খান বলেন, প্রতিটা পূজামন্ডবে পুলিশ মোতায়েন আছে, তার সাথে আনসার সদস্যরাও রয়েছে।কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, প্রতিটা পূজা মণ্ডপে পুলিশ, আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে পুলিশের টহল টিমও নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে।