মানব পাচার মামলায় নড়াইল থেকে গ্রেফতার চক্রের মূলহোতা শাকিল তিন দিনের রিমান্ডে
খন্দকার সাইফুল। নিজস্ব প্রতিবেদক। নড়াইল:
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রাম থেকে গ্রেফতার একাধিক মানব পাচার মামলার প্রধান আসামি এ চক্রের মূলহোতা মো.শাকিল হোসেনের (৩৭) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ডিসেম্বর) খুলনা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৪ এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনার হরিণটানা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.রফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত রোববার (৯ডিসেম্বর)) আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
জানা যায়, কালিয়া উপজেলার কদমতলা গ্রামের খাজা মিয়া শেখের মেয়ে মিতা খানম নামের এক নারীকে ফ্রান্সে নেয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে পাচারের অভিযোগে গত ৬ ডিসেম্বর হরিণটানা থানায় ৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন তার পিতা খাজা মিয়া শেখ। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-রাজিবুল ইসলাম রাজিব,রাকিবুল ইসলাম রাতুল,মমিনুল ইসলাম সাগর ও পিয়ারী বেগম। এদের মধ্যে মূলহোতা শাকিল হোসেনকে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে খুলনার হরিণটানা থানার এস.আই মো.রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কালিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় ফোন কল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামি মো.শাকিল হোসেন চাঁচুড়ী গ্রামের মৃত.ছাব্বির রহমান ওরফে মনু মোল্যার ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মানব পাচারসহ একাধিক ফৌজদারী মামলা রয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,উক্ত আসামি দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। তিনি সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে গ্রামের সহজ-সরল নিরীহ অসংখ্য সুন্দরী নারীসহ বিভিন্ন মানুষদের উচ্চ বেতনে বিদেশ নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নগদ টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে ভারত,মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিক্রি করে দেয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মানব পাচারের মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনার হরিণটানা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,‘মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার,এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। বিচারক শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। শিগগিরই আসামিকে থানায় আনা হবে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু