কক্সবাজারের রামু থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদি উদ্ধার
আমিনুল্লাহ,কক্সবাজার :
কক্সবাজার রামু থানাধীন ঈদগড়স্থ তুলাতুলি এলাকার গহীন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান এবং কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র তৈরী ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫; বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদি উদ্ধার
অদ্য ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.০০ ঘটিকা হতে সকাল ০৯.০০ ঘটিকা পর্যন্ত থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি আভিধানিক দল কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন ঈদগড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ তুলাতুলি এলাকার আবু সামার ঘোনার পশ্চিম পাশে
গহীন পাহাড়ে অবস্থানরত অবৈধ অস্ত্র তৈরীর সাথে জড়িত অস্ত্র ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এবং সেখানে অভিযান পরিচালনার সময় একটি অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পায়। র্যাবের অভিযানের বিষয়টি টের পেলে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা দূর্গম পাহাড়ের এদিক-ওদিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে।
এ সময় পলায়নকালে ধাওয়া করে অবৈধ অস্ত্র তৈরী, কেনা-বেচার সাথে জড়িত চক্রের চারজনকে র্যাবের আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অস্ত্রের কারখানা হতে উদ্ধার করা হয় ০২টি এলজি, ০৮টি ওয়ান শুটার গান, ১১ রাউন্ড গুলি, ১২ বোর কার্তুজ ৭টি, ফায়ারকৃত গুলির খোসা ০৪টি এবং অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদি মধ্যে উল্লেখযোগ্য অস্ত্র তৈরীর জন্য ০৭টি রড,
০৪টি হাতুড়ি, অস্ত্রের ফাইল ১০টি, বাটাল ০৩টি, ড্রিল মেশিন ০১টি, প্লাস ০২টি, স্ক্রু ড্রাইবার ০৩টি স্প্রিং, বাটাল সান দেয়ার জন্য শীল, ব্যান্ড বাইশ ও বাতাশ ও আগুন দেয়ার জন্য মোটরসহ অস্ত্র তৈরীর আনুষাঙ্গিক ছোট-বড় বেশকিছু সরঞ্জাম।
গ্রেফতারকৃত পরিচয় হলো- –
(১) সাহাব উদ্দিন (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, সাং-কোদালিয়াপাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, ঈদগড় ইউনিয়ন রামু, কক্সবাজার।
(২) লাল মিয়া (৫৮), পিতা-মৃত সোলেমান, সাং-কোদালিয়াপাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, ঈদগড় ইউনিয়ন রামু, কক্সবাজার।
(৩) মাঈন উদ্দিন (৪৩), পিতা-খইল্ল্যা মিয়া, সাং-করলিয়ামুরা, ৯নং ওয়ার্ড, ঈদগড় ইউনিয়ন রামু, কক্সবাজার।
(৪) জাফর আলম (৪১), পিতা-নাজির হোসেন, সাং-করলিয়ামুরা, ৯নং ওয়ার্ড, ঈদগড় ইউনিয়ন রামু, কক্সবাজার।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত অস্ত্র ব্যবসায়ীরা রামুর ঈদগড়স্থ তুলাতুলি এলাকার গহীন পাহাড়ে অবস্থান করে অস্ত্র তৈরী ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনাসহ ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং মাদক’সহ নানাবিধ অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এছাড়াও দূর্গম পাহাড়ী এলাকা হওয়ার সুবাদে সেখানে গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরীর কারখানা। গ্রেফতারকৃত অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সন্ত্রাসী চক্রের নিকট অস্ত্র সরবরাহ’সহ নিজেদের তৈরীকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা তাদের অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতো।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শেষে তারা পুনরায় গহীন পাহাড়ে তৈরীকৃত আস্তানায় আত্মগোপনে চলে যেত।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।