বাঁশখালীতে প্রকৃত কৃষকরা সুবিধা বঞ্চিত, পাচ্ছে অকৃষকরা
বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রকৃত কৃষকরা পায়না সরকারি সুবিধা পাচ্ছে অকৃষকরা, ধানের সাথে ছোবা থাকে, কৃষককের সাথে অকৃষক থাকে বললেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার উৎপল দাশ গুপ্ত।
জানা যায়, বছরব্যাপী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে হর্টিকালচার সেন্টার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দেওয়ানহাট চট্টগ্রামের উদ্যোগে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ১০ টায় কালীপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং দুপুর আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় বেশ কিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন, আমরা সারাজীবন কৃষি কাজ করি, কিন্তু সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইনা। আজকের কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এলাকার প্রকৃত কৃষকদের কাউকে দেখা যায়নি।গাড়ীর হেলপার, ছাত্র লীগ নেতাসহ কৃষি কাজ করেনা এমন কিছু লোককে ওই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।
যারা কোন কৃষক নয়। কিন্তু তাদেরকে কৃষক সাজিয়ে প্রশিক্ষণের নামে গাছের চারা প্রাদান করা হয়েছে এবং জনপ্রতি ৪৫০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এই সুযোগ থেকে স্থানীয় প্রকৃত কৃষকরা কেন পাচ্ছে না তা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।
এই প্রশিক্ষণে সুবিধা পাওয়া ৭/৮ জন লোকের নাম প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যাদের মধ্যে ৩/৪ জন রয়েছে অকৃষক।১নং ওয়ার্ড এলাকায় মৃত আবুল আবুল আবুল হাইরের ছেলে নুজরুল ইসলাম নামে এক দালালের মাধ্যমে কৃষকদের খবর দিলেও ওই দালাল প্রকৃত কৃষকদের খবর না দিয়ে কৃষক নয় এমন কিছু তার পরিচিত লোকজনকে ডেকে নিয়ে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন,যার ফলে প্রকৃত কৃষকরা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে যায়।
এবিষয়ে গুনাগরী, কালীপুর বাঁশখালীর উপ-সহকারী কৃষি অফিসার উৎপল দাশ গুপ্ত জানান, কালীপুর ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কালীপুরের সীমান্ত এলাকার সাধনপুরের ২/৩ জন লোক এই প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেছে। চারা বিতরণ ও টাকা প্রদান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রাথমিক
ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করলেও পরে ১টি আম চারা ,১টি সুপারি চারা ও ১টি কমলা চারাসহ জনপ্রতি ৩টি করে গাছের চারা বিতরণ করার কথা স্বীকার করলেও টাকা প্রদানের বিষয়টি মোটেও স্বীকার করেননি তিনি। আর বিতরণকৃত চারা গুলো কর্ণফুলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শ্যামল স্যার আসার সময় নার্সারি থেকে এনে বিতরণ করেছে বলে জানান উৎপল।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক জানান, এই প্রশিক্ষণ আমাদের কোন কর্মসূচি নয়, বরং হর্টিকালচার সেন্টার, দেওয়ান হাট, চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে বাঁশখালীতে ৩০ জন কৃষককে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ করার কথা ছিলো, তাই কালীপুর এলাকায় করার জন্যে বলেছিলাম। যে ভাবে হোক কৃষকরা একটু প্রশিক্ষণ পেলে হয়তো কৃষি উৎপাদনে তারা অগ্রগামী হতে পারবে। যারা অংশ গ্রহণ করেছে তারা বাঁশখালীর যে কোন এলাকার হতে পারবে, এতে কোন অসুবিধা নেই।
যেহেতু এই প্রশিক্ষণ নির্দিষ্ট ব্লকের জন্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাঁশখালীে কৃষক হলেই চলবে। আর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মসূচী গুলোর জন্যে আমাদের ব্লক (এরিয়া) রয়েছে। সব কিছু ব্লক ভিত্তিক হয়। আর এই প্রশিক্ষণে যারা অংশ গ্রহণ করেছে তারা বাঁশখালীর যে কোন এলাকার কৃষক হলেও অসুবিধা নেই।