পটুয়াখালীর মহিপুরে বিয়ের একদিন না পেরোতেই ওমর আলী (২৫) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহের পুর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের একটি মরিচ ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত ওমর ওই এলাকার শাহজাহান ফরাজীর ছেলে।
বাসর শেষে ভোররাতে স্বামী স্ত্রী দু’জনে পুকুরে ওজু করতে যায়। ওজু শেষে ওমর ফারুক মসজিদে নামাজ আদায় করতে যায়। এরপর সকালে নববধূ শুনতে পায় স্বামীর গলাকাটা মরদেহ মরিচ ক্ষেতে পরে আছে। মেহেদির রং না শুকাতেই স্বামী হত্যার ঘটনায় নববধূসহ পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে, কে বা কারা ওমর ফারুক কে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার ওমর আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের তাজেপাড়া গ্রামের শাহআলমের মেয়ে রুকাইয়ার (১৮) বিয়ে হয়। গতকাল কনের বাড়িতে বৌভাত শেষে রুকাইয়াকে তার বাড়ির লোকজন সহ ওমর আলীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাসর শেষে ভোররাতে ওমর নামাজ পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। পরে সকাল সাতটার দিকে স্থানীয়রা মরিচ ক্ষেতে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
নববধু রুকাইয়া (১৮) বলেন, ফজরের আযানের পর দু’জনে পুকুরে ওযু করতে যাই। সে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিল আর আমি ঘরে ফিরে এসেছি। পরে সাতটার দিকে শুনতে পাই তার গলাকাটা লাশ মরিচ ক্ষেতে পড়ে আছে।
ওমর আলীর বাবা শাহজাহান ফরাজী বলেন, ফজরের সময় ছেলে ও বউকে পুকুর পাড়ে দেখে আমি মসজিদে গিয়েছি। পরে জামাত শেষে ফিরে এসে দেখি মরিচ ক্ষেতে পড়ে আছে।
মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় দা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।