জিয়াউর রহমান, জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ:
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হায়দার বেলিয়া গ্রামের সুমন দে, তার স্ত্রী সুজাতা দে ও ছেলে শুভজিত দে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে যশোরের মুনছেপুর গ্রামের মামা বাড়ি যান সুমন দে। এক মাস পর আবারও মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে বিজিবি।
আটকের পর তাদের মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের নিমিত্তে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে তাদের আটক রাখা হয়। এর পর গত ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর তাদের কাগজে কলমে মুক্তি দেওয়া হয়।
সাজা শেষে ১০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া মাধ্যম শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দেশে পাঠানো হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম, দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা, দর্শনা চেকপোষ্টের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় কনসুলার দেবব্যত চক্রবর্তী, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ তিওয়ারি, ভারতীয় বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার নাগেন্দ্র পাল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিন মুখার্জি, ডিআইও কৃষ্ণগঞ্জ স্বাধীন মণ্ডল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।