১ টাকার চকলেট ৫ টাকা দেখিয়ে বিল উত্তোলন
কালিয়ায় ভূয়া বিল- ভাউচারে কেয়া দাসের অর্থ আত্মসাত!
মোঃ হাচিবুর রহমান,কালিয়া প্রতিনিধিঃ
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ লেনদেন, নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের আত্মীয়দের নিজ অফিসে নিয়োগ, নানান অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার কালিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কেয়া দাসের বিরুদ্ধে কিশোর কিশোরী ক্লাবের জন্য গত এপ্রিল মাসে বরাদ্দকৃত অর্থ ১ টাকার চকলেটের দাম ৫ টাকা দেখিয়ে উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ৫ টাকার বিস্কুট ১৫ টাকা,৪০টাকার বিস্কুট ২০টাকা দেখিয়ে ৭২৪৯৫ টাকার বিল উত্তোলন করেছেন।
অনুসন্ধান করে জানা যায়,কিশোর কিশোরী ক্লাবে গত এপ্রিল মাসের জন্য সারা দেশে ২কোটি ৬৩ লক্ষ ৬৮ হাজার দুইশত টাকা বরাদ্দ করা হয়। যার মধ্য কালিয়া উপজেলার ৩০ টি ক্লাবের জন্য ছয় কার্য দিবস হিসেবে ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্য আয়কর ৩% ও মূসক ৭.৫%বাবদ ৮হাজার পাঁচশত পাঁচ টাকা বাদ দিয়ে ৭২ হাজার নয়শত পঁচানব্বই টাকার পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে মাত্র ৪১হাজার চারশত পাঁচ টাকার খাবার ক্রয় করে বাকি টাকা নিজে আত্মসাৎ করেছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কেয়া দাস।
কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের নাস্তা বাবদ কোন অর্থ অব্যয়িত থাকলে চালানের মাধ্যমে ফেরত দেয়ার নিয়ম আছে কিন্তু অব্যয়িত অর্থ ফেরত না নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কেয়া দাস নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, এপ্রিল মাসের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কেয়া দাস ৫/৪/২৪ তারিখে একটি কোম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে কেয়া দাসের নিজ নামে এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ ১০হাজার নয়শত একানব্বই ও ২১ তারিখে ৩০ হাজার চারশ চোদ্দ টাকার বিস্কুট ক্রয় করে তবে উপজেলা হিসাব সংরক্ষণ অফিসে ৮১ হাজার চারটি ভূয়া বিল দেখিয়ে সমুদয় অর্থ উত্তোলন করেন।
এছাড়া ভূয়া ঐ বিলে দেখা যায় যে কোম্পানি থেকে কেয়া দাস বিস্কুট ক্রয় করেছেন সেই বিলে কোম্পানির প্রতিনিধির স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোম্পানির প্রতিনিধির স্বাক্ষর নেই।
এ অর্থ উত্তোলন বিষয়ে জানতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কেয়া দাসের মোবাইল নাম্বারে 01790-74–60 একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী রাণী মজুমদার বলেন, কিশোর কিশোরী ক্লাব সহ অন্যান্য প্রোগ্রামের প্রত্যেকটি টাকা সঠিকভাবে খরচ করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে তিনি যদি সঠিকভাবে খরচ না করেন নিজে আত্মসাৎ করেন এই দায়িত্ব তার নিজের। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বা আমি নিজে এর দায় নিব না। যে অন্যায় করবে শাস্তি তার হবে।