জাফরুল সাদিক,বগুড়া প্রতিনিধি ঃ
দিগন্ত জোরা মাঠ। যতদুর চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। বিস্তীর্ন ফসলের মাঠ আর মাঠের চারপাশ বসেছে যেন হলুদের মেলা। হলুদ রং মেখে প্রকৃতি যেন নিজেকে সাজিয়েছে অপরুপ রুপে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গ্রামের মেঠো পথ বেয়ে দেখা যায় মাঠে মাঠে সৌন্দর্য মন্ডিত সরিষার ফুল।
সরিষার ফুলের মুহুমুহু গন্ধে ক্ষেতে দেখা যায় মৌমাছির দল কিছু প্রজাপতির আনাগোনা। মৌমাছি মধু আহরণে এক গাছের ফুল থেকে আরেক গাছের সরিষা ফুলে বসে মধু সঞ্চয়ে ঘটাচ্ছে পরাগায়ন। পাশাপাশি এমন দৃশ্য দেখে কৃষকের চোখে মুখে বইছে খুশির ঝলকানি। মনে মনে মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।
স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে জমি তৈরি থেকে শুরু করে সরিষা বীজ ফেলানো ও পরিচর্যার ফলে ভালো ফলনের আসা করছে কৃষক। গ্রামাঞ্চলে যে পরিমাণ সরিষা ক্ষেত দেখা যাচ্ছে তাতে গত মৈৗসুমে তুলনায় তলতি মৈৗসুমে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার চাষ হয়েছে।
এবছর ২হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে এবার সরিষা চাষ করা হয়েছে।চন্দন বাইশা ইউনিয়নের সরিষা চাষী মালেক মিয়া বলেন, দফায় দফায় খাওয়ার তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে গত ধরে নিজ জমিতে সরিষা চাষাবাদ শুরু করেছি।নিজে আবাদি সরিষার তেল খাই।গতবারের চেয়ে এবার এক বিঘা বেশি জমিতে সরিষার আবাদ করেছি।কুতুবপুর ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের কৃষক মামুন মিয়া বলেন, নিজের খাবার তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য এবারে ৪ একর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছি। অল্প খরচ এ এক দুবার সেঁচ দিলে সরিষা চাষাবাদ করা হয়। সরিষা বাড়তি ফসল।
পরিবারের খাবার তেলের চাহিদা মেটাতে। সরিষা তুলে ঐ জমিতে অনায়াসে বোরো আবাদ হয় খরচ ও কমপড়ে। তাছাড়া সরিষা গাছের পাতা ও শেকর মাটিতে পঁচে জৈব সার রুপান্তরিত হয়ে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অল্প খরচে তিন মাসেই সরিষা আবাদ ঘরে তোলা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, আমারা কৃষি অফিস থেকে কৃষক কে সরিষা চাষে সবসময়ই পরিচর্যা ও পরামর্শের দিক নির্দেশনা দিচ্ছি। এছাড়া কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশনায় তেলের চাপ কমাতে সরিষা চাষাবাদে কৃষকদের সরিষা চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করনে ব্যপক ভাবে প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে । সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে প্রনোদনার সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।