ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবসের ওয়েবিনারে বক্তারা
খাদ্যদ্রব্যে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি বাংলাদেশে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকভাবে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। খাবারে ট্রান্সফ্যাটের ব্যবহার রোধে সরকার “খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১” পাশ করেছে। তবে এটি বাস্তবায়নে তেমন একটা অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে প্রবিধানমালাটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি। বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১১ জুন ২০২৪ গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত “ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও করণীয়” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “ফুড সেফটি: প্রিপেয়ার ফর দি আনএক্সপেক্টেড”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট এলিমিনেশন প্রতিবেদন, ২০২২ অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশ ইতিমধ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বোত্তম নীতি’ বাস্তবায়ন করলেও, বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) ড. মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, “ট্রান্সফ্যাট প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। আশা করি আমরা দ্রুতই প্রবিধানমালার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন শুরু করতে পারবো।”
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর উপ-পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য- মান উইং) এনামুল হক বলেন, “ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তিগত কিছু ঘাটতি রয়েছে। আমরা এগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।”
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্ড সিইও মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক জনাব এবিএম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।