রামপালের ফয়লাহাটে জামায়াতের সিরাত মাহফিল
রামপাল ( বাগেরহাট ) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের রামপালে ঐতিহাসিক সীরাতুন্নবী মাহফিল-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রামপাল উপজেলা যুবসমাজের উদ্যোগে উপজেলার ফয়লা বাজার এন্ডবি মোড় চত্বরে গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে শুরু হয় মাহফিলের কার্যক্রম।
রামপাল উপজেলা যুব সমাজের সভাপতি শেখ মোঃ আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাফেজ মাহাবুব মোল্লার সঞ্চালনায় সিরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিলে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’র সুযোগ্য পুত্র ও খুলনার দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার সভাপতি শামীম সাঈদী।
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও বাগেরহাট জেলা শাখার আমীর মাওলানা রেজাউল করিম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট মাওঃ শেখ আব্দুল ওয়াদুদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হুসাইন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মল্লিক আব্দুল হাই, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলার যুব বিভাগের সভাপতি মন্জুরুল হক রাহাদ, রামপাল উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ জিহাদুজ্জামান, জামায়াত নেতা ডাঃ আতিয়ার রহমান, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান আসাদ। সিরাত মাহফিল পেশ করেন মাওলানা মনিরুজ্জামান, মনোয়ার হুসাইন জাফরী, ক্বারী মিরাজ মাহমুদ।
সিরাত মাহফিলের প্রধান আকর্ষণ শামীম সাঈদী বলেন, আল-কুরআনের পাখি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে কে স্বৈরশাসকরা মিথ্যা চিকিৎসার নামে ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলছে। যারা কুরআনের পাখিকে মেরে ফেলছে তাদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হবে। ছাত-জনতা এ হত্যার বিচার করবে। ছাত্র-জনতার দ্বারা অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হব। ইসলামের নীতি অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার তাওহিদী জনতা সিরাত মাহফিলে উপস্থিত হন। সন্ধা ৭.৩০টায় সিরাত মাহফিল শেষ হয়।
ছাত্র-জনতার এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে- কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম
রামপাল ( বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষনা বিষয়ক কৃষিবিদ মোঃ শামীমুর রহমান বলেছেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নতুন করে এক স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র-জনতার সংগ্রামের ফলে অর্জিত এ স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টানদের ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা আকড়ে ধরেছিল। তাদের সংখ্যালঘু উপাধি দিয়ে তারা নিজেদের ফায়দা লুটে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা স্বৈরাচারী আচরণ করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। এখন আমাদের নতুন করে স্বৈরাচার পতনের পর সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকদের জান-মাল বাড়ি-ঘর ও মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাবু শষীণ হালদার। রামপাল ও মোংলা উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত ওই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা এস অনিমেষ, মোংলা পৌর বিএনপি সাবেক মেয়র জুলফিকার আলী, রামপাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, জেলা বিএনপি নেতা সরদার অজিয়ার রহমান, প্রভাষক মোক্তাদির হোসেন, অনিন্দ্রনাথ পাল, অমিত রায়, অসিম কুমার মণ্ডল, শিমুল চন্দ্র রায় প্রমুখ।
এ সময় রামপাল ও মোংলা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শুরুর আগে দুই উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশে উপস্থিত হন।