ভাঙ্গায় অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির ১৭ বছর কারাদন্ড
ওবায়মদুর রহমান, স্টাফ রির্পোটারঃ
ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: লুৎফর রহমান মোল্যা(৩৫)কে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এর রায় দেন। রায়ের সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।
সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: লুৎফর রহমান মোল্যা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা শাখার জিডি মুলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারী রাত দশটার দিকে ভাঙ্গা বাজারে অভিযান চালায়। এসময় লুৎফর রহমান মোল্যাকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। এসময় তার কোমরে গোজা অবস্থায় ইউএসএ’র তৈরী একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন সহ ২ রাউন্ড গুলি সহ ২০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ডিবি পুলিশের এস,আই জুয়েল মিয়া বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা আরেকটি ইয়াবা মামলা দায়ের করা হয়।
আজ অস্ত্র মামলাটি বিষয়
জেলার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিটার(পিপি) নওয়াব আলী মৃধা রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে অস্ত্র আইনে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে বিজ্ঞ বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন । আসামী লুৎফরকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ১০ বছর ও ৭ বছর মোট ১৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।
পরে আসামীকে পুলিশ হেফাজতে কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নানকে অস্ত্র দিয়ে গুলি করার হুমকি ও ভয় ভীতি পদর্শন করেন। তার নিকট থেকে ৭৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
পরে লুৎফরের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা ও ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক মান্নান। সেই জিডির অভিযোগেও লুৎফরকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন আদালত। এরআগে লুৎফর রহমান সাঁজাভোগ করে জেল থেকে বের হয়েছেন।
এছাড়া লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ফ্লাট দখলের অভিযোগ রয়েছে। সে ইয়াবা বা মাদক বিক্রির গড ফাদার হিসাবে পরিচিত।