দুই উপজেলার বিল কাঠুরিয়ার প্রায় শতাধিক মৎস ঘের ভেসে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি
গোলাম রসুল,বাঘারপাড়া (যশোর)
যশোরের বাঘারপাড়া ও নড়াইল সদর উপজেলার বিল কাঠুরিয়ার ছোট বড় মিলে শতাধিক মৎস ঘের অতি বর্ষনে এবছর ভেসে মাছ বেরিয়ে গিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস চাষিদের। সরেজমিনে গিয়ে কথা ১১ খানের কয়েকজন মৎস চাষির সঙ্গে। চাষি কংকন বিশ্বাস, রমেশ মন্ডল, সমার মন্ডল ও চাষি জগদীশ সরকার বললেন লাখ লাখ টাকার কিস্তি ও ব্যাংক থেকে লোন করে চারা মাছ খরিদ করে ঘেরে দিয়ে তার সঠিক পরিচর্যা করে আসছিলাম কিন্তু প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়ায় অতি বর্ষনে সব আশা নিঃশেষ হয়ে গেছে।
তিনারা আরও বললেন শুধু আমরা না এ বিল কাঠুরিয়ায় আমাদের মত আরও ১০০ মৎস ঘের মালিক আছে তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নড়াইল শহরে নেট সঙ্কট দেখা দেওয়ায় অনেকে ঘেরের পাড় নেট দিয়ে আটকাতে না পারায় সব মাছ বেরিয়ে গেছে।এখন শুধু হা-হুতাশ ছাড়া তাদের কিছুই করার নেই। ব্যাংক লোন কিস্তির টাকা কি করে পরিশোধ করবে সেই চিন্তা এখন তাদের। মুষ্টিমেয় কিছু চাষির দু একটা গরু ছাগল থাকলেও তা বিক্রি করে লোন ও কিস্তির টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।
তাই এ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মৎসজীবি বর্তমান ছাত্র জনতার সরকারের কাছে তাদের কোন কিছু চাওয়া ও পাওয়ার আাশা নেই শুধু ব্যাংক লোন ও কিস্তীর টাকার সুদ মওকুফ যদি করিয়ে দেন তাহলেও চাষিরা কিছুটা চিন্তামুক্ত হবে এই প্রত্যাশা তাদের। কোন কোন চাষি শাপলা ও শামুক সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রি করে কোন রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছে।
সমার মন্ডলের স্ত্রী লোকলজ্জা উপেক্ষা করে বিল কাঠুরিয়া থেকে শামুক কুড়িয়ে তা বাজারে বিক্রি করে যে পয়সা পাচ্ছে তা দিয়ে ছেলে মেয়ের স্কুলের খরচ যোগাচ্ছেন। এ কথাগুলো বললেন সমার মন্ডল। এছাড়া জগদীশ সরকার বললেন আমার আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। তিনি আরও বললেন আমার এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে গেলে কয়েক বছর লাগবে। এছাড়াও ১১ খান বাকড়ীর দক্ষিণ মাঠে চাষ করেছে চিংড়ি মাছের।
মিন্টু বিশ্বাস অতিদরীদ্র কৃষক সফলতার আশায় একটি চিংড়ি ঘের তৈরী করে এবং তাতে রেনু চিংড়ি ছাড়ে লাভের আশায় কিন্তু তার এই পরিকল্পনা জলে ভেসে গেছে এখন মিন্টু বিশ্বাস দীগবিদীগ শুন্য হয়ে গেছে। অনেকের একাধিক ঘের তুলিয়ে গেছে যার ক্ষতি অপুরণীয়। কার নিকট অভিযোগ করবে। এখন শুধু উপরীআওলাকে স্বরণ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।








