দেশে রোগ-জীবাণু ঢুকবে, তাই ডিম আমদানিতে ‘না’ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:
কোনো অবস্থাতেই ডিম আমদানি করতে চান না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “ডিম আমদানির সঙ্গে সে দেশের রোগ-জীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে। এর ফলে পোল্ট্রি শিল্প টিকতে পারবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে।”
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সবার জন্য নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “উৎপাদন খরচ কমিয়ে কীভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায়, সে চেষ্টাই করতে হবে।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বুঝি, বন্যার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, উৎপাদন কমে গেছে। কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। তাই গ্রাহক পর্যায়ে ডিম ও মুরগি সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
ফরিদা আখতার বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্প, প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পোল্ট্রি শিল্পের অবদান কোনো অংশে কম নয়। এ সেক্টর আমাদের ডিম ও মাংসের বিশাল চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।”
পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হয় এ শিল্প থেকে। একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে অন্যদিকে সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।”