মেহেরপুরে ঘুষের বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করানোর অভিযোগে বিক্ষোভ,
আলী আহসান রবি,নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৪ অক্টোবর , ২০২৪ ·
মেহেরপুর বিআরটিএ’র মোটর ভেহিকেল ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে একটি পক্ষকে মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মেহেরপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’র (টিটিসি)ড্রাইভিং ট্রেডের পরীক্ষার্থীরা।
বিআরটিএ’র মাধ্যমে যারা ঘুষ দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে তাদের সকলকেই গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষায় পাশ করানো হয়েছে অপর দিকে টিটিসি’র পরীক্ষার্থীরা ঘুষ না দেওয়ায় তাদের ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন কে পাশ করানো হয়। পরে পরীক্ষার্থীরা খাতা পুনরায় নিরীক্ষার আবেদন জানায়, তাতে আরও ২০ জন পাশ করে। এমন অভিযোগে ফুৃঁসে ওঠেন তারা। তাদের অভিযোগের পরে আগের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, টিটিসি’তে তিন মাসের ড্রাইভিং কোর্স শেষ করে ৭৬ জন পরীক্ষার্থী ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ২৭ জন পাশ করেছে। এদিকে কোন রকম প্রাকটিক্যাল ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ না নিয়ে ১শ ৩৫ জন ড্রাইভিং পরিক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ১শ ৩০ জনকে ঘুষের বিনিময়ে পাশ করানো হয়েছে। টিটিসি থেকে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের খাতা পুণঃ পরীক্ষনে ২০ জন পুনরায় পাশ করে। এতে প্রমানিত হয় খাতা নিরীক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। তাদের আরো অভিযোগ বিগত দিনে টিটিসি থেকে ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় জনপ্রতি বিআরটিএ অফিসে দুই হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হতো। কিন্তু এবার তারা সে ঘুষ পদ্ধতি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই তাদের ইচ্ছা করে ফেল করানো হয়েছে। তবে পুনঃ পরীক্ষায় টিটিসি থেকে ৬২ জন অংশ গ্রহণ করে ৫৫ জন লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে তবে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৮ জন পাশ করে। অপর দিকে বিআরটিএ দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর স্বাধীনের বিরুদ্ধে বায়োমেট্রিক গ্রহণের সময় জনপ্রতি ১শ টাকা করে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিআরটিএ দপ্তরের মোটর ভেহিকল ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান বলেন কোন অনিয়ম হয়নি। তবে খাতা দেখায় কিছু ভুল হয়েছিলো।
মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগের পরীক্ষাটি বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।