নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালী কলাপাড়ায় রাতের আঁধারে দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ব্যাবসায়ী জামাল মৃধা ও শামিম রাঢ়ীর দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। পহেলা নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কলাপট্রি খেয়াঘাটে এ আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জলিল মৃধা বলেন,গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাইরে বের হয়ে চর চর শব্দ শুনতে পান। আশেপাশে তাকাতেই দেখেন চতুর্দিকে আলো ছড়িয়ে পরেছে। এরপর বাড়ি থেকে কিছুটা সামনে এগুতেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে দেখতে পান। তার ডাক চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। তারপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দুই দোকানের সবকিছু পুরে ছাই হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,দোকানের মধ্যে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পরলে সার্টার খোলা সম্ভব হয়নি। তাই কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ী জামাল বলেন,তার দোকানে টিভি ফ্রিজ ও অন্যান্য মালামাল সহ আনুমানিক ৬/৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপর ব্যাসায়ী শামিম রাঢ়ী বলেন,তার দোকানেও টিভি ফ্রিজ সহ ৪/৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই তারা ঘুরে দাঁড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তারা আরও বলেন,অনুমান করছেন কে বা কাহারা শত্রুতা মুলক আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করবেন।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ইলিয়াস হোসাইন বলেন,স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এনেছেন। ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি কোন ধারণা দিতে পারেননি সেটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান শহীদ মাতব্বর। তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন ও বিত্তশালীদের এগিয়ে এসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন,ঘটনা তিনি শুনেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীরা একটি আবেদন করলে সরকারি ভাবে তাদের যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব সেটি তিনি করবেন।