পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী-চম্পাপুর সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটির ছোট বড় অসংখ্য গর্তে পানি কাঁদা জমে থাকায় পা পিছলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন
পথচারীরা। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কটিতে ঘাতক যান থ্রি হুইলারের অব্যাহত চলাচলে সড়কটি আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় এখন হালকা যানও উল্টে যাচ্ছে সড়কটিতে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রায়শ:ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে আহত হচ্ছে পথচারীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ বছরেও সংস্কার হয়নি ধানখালী-চম্পাপুর সড়কটি। এতে দুই ইউনিয়নের অন্তত: অর্ধ লক্ষ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার কিংবা পুন:নির্মানের দাবি স্থানীয়দের।
সূত্রটি আরও জানায়, উপজেলার টিয়াখালী ব্রিজ থেকে প্যাদার হাট হয়ে ধানখালী ইউনিয়নের কানাইমৃধা পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। প্রধান এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে ২ ইউনিয়নের মানুষ। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২ টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ টি কলেজ ও ৩ টি মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। প্রায় ১৫ বছরে আগে এ সড়কটি নির্মান করে এলজিইডি। নির্মানের ৫ বছর পরই সড়কটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে সড়কটির বেশির ভাগ স্থান দেবে গেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। বিকল হচ্ছে যানবাহন।
প্যাদার হাট এলাকার মঞ্জু সিকদার জানান, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল বড় বড় বাহনে করে এই সড়ক দিয়ে আনা নেয়া করার ফলেই এমন দুরাবস্থা হয়েছে সড়কটির। এখন সড়কটিতে হাঁটাও দুস্কর হয়ে পড়েছে।
নমোর হাট এলাকার বাসিন্দা ফজলু মিয়া জানান, আমাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। সড়কটিতে এখন বড় বড় গর্ত হয়েছে। অনেক স্থান দেবে গেছে। তাই আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি পুন:নির্মানের দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে কলাপাড়া ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ইতিমধ্যে একটি প্রস্তাবনা তৈরী করেছে। সাধারন মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে।