সুন্দরগঞ্জে আঃ জব্বার ডিগ্রি কলেজের ৬০ শিক্ষক-কর্মচারীর ৪ মাস ধরে বেতন- ভাতা বন্ধ।।মানবেতর জীবন যাপন!
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা থেকেঃ-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাজাকারের নামে সেই ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রী কলেজের ৬০ জন শিক্ষক-কর্মচারী চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ মাস ধরে বেতন ভাতা না পাওয়ার ফলে ওই ৬০ টি পরিবাবের কয়েশ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানাযায়,এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়ে আসলে অক্টোবর ২০২২ গভনিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর কমিটি সংক্রান্ত জটিলতা শুরু হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দেয়।
এডহক কমিটি অনুমোদনের প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও বেতন বন্ধ বন্ধ রয়েছে! এতে করে বিপাকে পড়েছেন বেতন ভাতা বন্ধ হওয়া ৬০ শিক্ষক কর্মচারী। বিশেষ করে অল্প বেতনের কর্মচারীদের বেহাল দশা।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের খাম-খেয়ালিপনায় হয়েছে।তিনি ইচ্ছা করলেই বেতন ভাতা ছার দিতে পারেন।
শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে গভর্নিং বডির কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটিতে রাজাকার আব্দুল জব্বারের দ্বিতীয় পুত্র শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামকে না নেয়ায় কমিটি গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
এরপর ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গঠনে দেড় মাস অতিবাহিত হলেও অজানা কারণে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন আজ অবধি স্থগিত রয়েছে।
কলেজটির সহকারী অধ্যক্ষ জাকারিয়া প্রামাণিক বলেন, চার মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে আছি। সামান্য কারনে আমাদের কলেজের সবার বেতন বন্ধ রয়েছে। তবে অচিরেই বেতন না পেলে আমাদের পথে বসতে হবে।
ল্যাব সহকারী সম্পা আকতার বলেন, মাস শেষে যা বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালাই। বেতন বন্ধ হওয়ায় কোনমতে কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি। তিনি দ্রুত সকল সমস্যা দুর করে বেতন চালু করার দাবি জানান।
সামিউল ইসলাম নামে এক নিরাপত্তা প্রহরী জানান, বেতন বন্ধ হওয়ায় ধার দেনা করে চলছি। জমানো যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলি কেমনে চলবে বলতে পারেন না তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ জানান,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের খামখেয়ালিপনায় শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে না। উনি সদয় হলে শিক্ষকরা বেতন পেতো। কারণ ইউএনও হচ্ছে এই কলেজের সভাপতি। পূর্বে কমিটির জটিলতা থাকলেও বর্তমানে কোন জটিলতা নেই সুতরাং ইউএনও ইচ্ছা করলেই বেতন দিতে পারেন।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন চেয়ে একটি আবেদন করেছেন আমার কাছে। এখানে আমার খামখেয়ালি করার কোন অবকাশ নেই। সবার সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করে আমি বেতনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি আরো বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ এর আগেও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমসে ‘রাজাকারের দালিলিক প্রমাণ চাইলেন ইউএনও’ এই শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদে আমার বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন।