বেনাপোল অফিস :
যশোরের শার্শায় হাই ভোল্টেজ তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে দীর্ঘ তিন মাস বিনাচিকিৎসায় বিছানায় ছটফট করছেন মোস্তফা (৩০) নামে এক যুবক। সে উপজেলার নাভারণ ডকের বাগান গ্রামের মুজিবর শেখের ছেলে।
বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় অসাবধানতা বসত হাই ভোল্টেজ তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঝলসে গেলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়ে মোস্তফা নামের এই যুবক। পরে তাকে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হলে
অর্থের অভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম থেমে যায় তার।
প্রথম অবস্থাতে চিকিৎসা বাবদ আনুমানিক ২ লাখ টাকা খরচ হলেও তার সেরে উঠতে আরো ২ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানান মোস্তফার পরিবার। এ অবস্থায় ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তশালী ও সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন করেছেন মোস্তফার অসহায় মা বাবা।
মোস্তফার পিতা মুজিবর শেখ জানান, আগামী সপ্তাহে ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় যেতে হবে। এই মুহূর্তে ছেলের চিকিৎসার জন্য চাহিদা অনুযায়ী টাকা নাই। এখন সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এদিকে সন্তানকে বাঁচাতে মোস্তফার মা সফুরা বেগম বলেন, ধার দেনা করে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা থমকে গেছে। এই মুহূর্তে এতগুলো টাকা জোগাড় করা কোন ভাবে সম্ভব না। সমাজের বিত্তশালী ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি।
মোস্তফাকে বাঁচাতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাত্র ২ লাখ টাকা প্রয়োজন। এখুনি তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অর্থের জোগান পেলেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন মোস্তফা। সমাজের সকল শ্রণি পেশার মানুষ ১টাকা ২টাকা ৫টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলে বেঁচে উঠবে মোস্তফা এমনটাই কামনা করেন সচেতন মহল সহ মোস্তফার মা বাবা।
মোস্তফাকে বাঁচাতে সার্বিক যোগাযোগ ও অর্থ পাঠাতে ০১৯৮৩-৬৬০০৮০ (স্ত্রী/বিকাশ নাম্বার) এবং ০১৯১৫৩৬৯৯০১ (পিতা)’র নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।