রুবেল মিয়া, রংপুরঃ
রংপুরে প্রতিবন্ধী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, এক সরকারি চাকুরিজীবির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ধর্ষকসহ তার তিন ছেলে সরকারি চাকুরীজীবি ও প্রভাবশালি হওয়ায়, মামলা হলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে প্রধান
আসামি। ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি নিশ্চিত হলে, রফাদফার পরামর্শ ধর্ষকের।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, নারী ও শিশু আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষ’র এমন ঘৃন্যত জঘন্য ও অমানবিক অপরাধের রায় মৃত্যু দন্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে। আর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, ধর্ষককে গ্রেফতারের অভিযান চলমান চলছে।
মহানগরীর (১৩) নং ওয়ার্ড দামোদরপুর, ফরহাদ মিয়ার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে নানার বাসায় টিভি দেখা’র সময়, বক্তিয়ারপুর আদর্শগ্রামের (১০) নং ওয়ার্ড মৃত- আকবর হোসেনের ছেলে, আবুল কালাম আজাদ (৫১) ছদ্মনাম, কাকুলি (১৭) কে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন।ইয়াসমিন ভুক্তভোগীর মা জানান, গত- ৩০ শে এপ্রিল ২০২২ ইং ঈদূ-উল ফিতর উদযাপনে বাবার বাসায় বেড়াতে গিয়ে সহপরিবারে ছন্দ নাম, কাকুলিকে তার নানার বাড়িতে রেখে ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান ভুক্তভোগীর বাবা-মা। আনুমানিক দুপুরে পাসের বাড়ীতে টিভি দেখতে গেলে, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং হুমকি দেন কাউকে জানালে পরিবারসহ বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়বে।
ভুক্তভোগীর নানা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমার নাতনি ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি জানালে, বাচ্চা নষ্ট করবার পরামর্শ দেন ধর্ষক আবুল কালাম আজাদ।নাম গোপন রাখার শর্তে কাকুলির খালা বলেন, ধর্ষকের তিন ছেলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে, যে-কোন পরিস্থিতিতে মামলা মিথ্যা প্রমানিত করাবেন।
জনপ্রতিনিধি জানান, এ ধারেন কাজ মানুষ করতে পারে না, তাই আবুল কালাম আজাদ দূষি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি (১০) নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শাহ্ মোঃ কামরুজ্জামান।
হাজিরহাট মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায় , মেডিকেল রিপোর্ট অনুয়ায়ী ধর্ষনের শিকার, শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিশ্চিত হয়েছি আমরা। সিনিয়র অফিসার দিয়ে মামলা তদন্ত এবং আসামি গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে, রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া।