খন্দকার সাইফুল, নড়াইলঃ
নড়াইল সদরে কলেজছাত্র দ্বীপ্ত সাহা (২২) হত্যাকান্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। এসময় হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে নড়াইলের নড়াগাতী থানাধীন বাওইসোনা এলাকা
থেকে কলেজছাত্রের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। দিবাগত রাত ১টায় জেলা পুলিশ
সুপার (এসপি) মোসাঃ সাদিরা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
শনিবার দুপুরে কলেজছাত্র দীপ্ত সাহার মরদেহ
উদ্ধার করা হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দোলন মিয়ার নেতৃত্বে হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়,
মোটরসাইকেলটির জন্য তারই পরিচিতরা এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার ও আসামিদের ধরতে একনাগাড়ে দিনভর জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন, কলেজছাত্রের নির্মম হত্যাকান্ডের পর আমাদের প্রথম কাজ ছিল হত্যার কারণ
শনাক্ত করা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, মোটরসাইকেলের জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে আটকদের নাম প্রকাশ করছি না। অতি
দ্রুত আমরা বিস্তারিত জানাব।প্রসঙ্গত, নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হোগলা ডাঙ্গা গ্রামের দ্বীনো সাহার ছেলে ও নড়াইল সিটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী দীপ্ত সাহা
(২২) নির্মম ভাবে খুন হন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হোগলা ডাঙ্গা এলাকায় নামযজ্ঞের মেলায় দেখার উদ্দেশে নিজের ব্যবহৃত অ্যাপাসি ৪ ভি মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন দ্বীপ্ত। রাত হয়ে গেলে ও সে আর বাড়িতে না ফেরায় দীপ্তর বাবা
অনুমান করেন হয়ত কোনো বন্ধু বা বোনের বাড়িতে গেছে সে।
পরদিন শনিবার বেলা ১১টার দিকে দীপ্তর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তমনামের একজন তার মাছের ঘেরে কাজে গিয়ে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়েঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাত-পা বাধা অবস্থায় ঘেরের কিনারা থেকে কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে।দীপ্তর গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। এসময় তার পকেট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়েছিলো।