বেনাপোল অফিস :
বিয়ে করেও স্বামীর সংসার করা হলোনা যশোরের শার্শা উপজেলার জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর।
মনিরামপুরে শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সদস্যদের কতৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর ঘর ছাড়তে হলো তার। অসহায় গৃহবধূ উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের আয়ুব হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে নির্যাতিতা গৃহবধূ মনিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার বলেন, ইসলামি শরিয়া মোতাবেক মনিরামপুর থানার ঝাপা বাগাডাঙ্গা গ্রামের আফছার মোড়লের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে বিগত ৩ বছর আগে আমি প্রবাসে থাকা অবস্থায় সেখানে বিয়ে হয়।
বিয়ের এক সপ্তাহ পরে আমার স্বামী আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। আমি দেশে এসে আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে উঠি। ওখানে এক সপ্তাহ খুব ভাল ভাবে বসবাস করছিলাম। আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে কাজকর্ম করে যে অর্থ আয় রোজকার করেছিলাম সব টাকা পয়সা স্বামীর সংসারে খরচ করি।
পরবর্তীতে আমার কাছে কোন অর্থ না থাকায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ধীরে ধীরে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাকে তারা মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
আমি নিরুপায় হয়ে বাড়িতে এসে আবারও প্রবাসে চলে যায়। ১ বছর পরে ফিরে এসে শ্বশুর বাড়িতে গেলে তারা আমাকে আমার স্বামীর ঘরে উঠতে দেয়নি।
এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে আমার স্বামীর বাড়িতে গেলে ওখানে থাকা মো: আলী হোসেন (৫৫), ওবাইদুর রহমান (২৫), শেফালী বেগম (৪৮), আলেয়া খাতুন (২৮), সাজেদা বেগম (৩৫) সহ অন্যান্য সদস্যরা আমাকে বেদম প্রহার করে।
এক পর্যায়ে বিবাদীদের লাঠির আঘাতে আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এসময় আমার কাছে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা ও স্বার্ণালোংকার ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
আমার জ্ঞান ফিরলে আমি ঘটনাস্থল থেকে আমার পিতার বাড়িতে চলে আসি। এখন আমি যদি আমার স্বামীর বাড়িতে যায় তাহলে বিবাদীরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আমার স্বামী মোবাইল নাম্বার ও ইমু নাম্বার ব্লক করে রেখেছে। আমি আমার সাথে হওয়া প্রতারণার সঠিক বিচার দাবী করছি প্রশাসনের কাছে।
মনিরামপুর থানায় করা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে এখনো অভিযোগের কপি আসেনি। আমি খবর নিয়ে জানাচ্ছি। এরপর থেকে অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান এর কাছে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।
এমতাবস্থায় বাদী জেসমিন আক্তার কিভাবে ন্যায় বিচার পাবে সে বিষয়ে ধোঁয়াসা দেখছেন তিনি। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অসহায় জেসমিন আক্তার ন্যায় বিচার পাবে এমনটাই কামনা করেন সচেতন মহল।