ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়
মাটি মামুন রংপুর।
নীলফামারীর সৈয়দপুর ঘুরে এসে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি আমি মাটি মামুন।
বাড়তি চাপ সামলাতে নীলফামারীর সৈয়দপুররেলওয়ে কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে ১০০টি রেলকোচ।এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে ৮৭টি।আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যেই সবগুলো কোচই রেলওয়ে পরিবহন শাখায় হস্তান্তর করা হবে।
এর ফুসরত নেই শ্রমিকদের।রমজান মাস হওয়ায় কাজ চলছে বিরতিহীনভাবে।ক্যারেজ শপে জরাজীর্ণ কোচ গুলো মেরামত
শেষে সেগুলো রং এর প্রলেপে
হয়ে উঠছে ঝকঝকে।বসার আসন থেকে শুরু করে ঢাকাএমনকি হাতল ও দরজা সবই
মেরামত হচ্ছে।১৮৭০ সালে ফলে অতিরিক্ত ৪০ হাজার যাত্রীপরিবহন করা যাবে।
আনন্দঘন ঈদযাত্রায় প্রতিবারই সবথেকে
বেশি চাপ লক্ষ্য করা যায় রেলপথে।
অনেক সময় আসন না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে হলেও ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির পথে রওয়ানা হন যাত্রীরা।তবে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবার ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ১০০টি কোচ প্রস্তুত করছে রেলওয়ে।
তারই ব্যস্ততা এখন রেলওয়ের বিভিন্ন
ওয়ার্কসপগুলোতে।দম ফেলার সৈয়দপুর রেলওয়ে কারাখানাস্থাপিত হয়।
১১০ একর জমির উপর অবস্থিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটিতে ঈদকে ঘিরে এখন
ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে।
কারখানার ২৬টি শপে রেলকোচ মেরামত
চলছে জোরেসোরে।জনবল সংকট থাকলেও ঈদে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ দিয়েও চেষ্টা করে যাচ্ছেন কারখানার
কর্মকর্তা কর্মচারীরা।সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ঊর্ধ্বতন উপ–সহকারী প্রকৌশলী মো. রুহুল মেরামত হওয়া কোচ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের সাথে যুক্ত হবে।
ঈদের তিনদিন আগে ওই ট্রেনগুলো চালু হবে। রেলওয়ে বলছে এর মধ্য দিয়ে যাত্রী সেবা বহুলাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান বলেন, মার্চের ১ তারিখ থেকে এপ্রিলের ১৮ তারিখ পর্যন্ত
আমাদের ৪০টি কার্যদিবস রয়েছে।
এই ৪০টি কার্যদিবসের মধ্যে আমরা মোট ১০০টি কোচ মেরামত করে অপারেটিং বিভাগকে হস্তান্তর করবো ১০০টি কোচের মধ্যে ৮৩টি ব্রডগেজ ও ১৭টি মিটার গেজ কোচ।এরই মধ্যে ৮৭টি হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাকিগুলো ১৮ এপ্রিলের মধ্যেই হস্তান্তর করা হবে।