নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে চোরের উপদ্রব। পৌর শহরের বাসা বাড়ী ও দোকানে একাধিক চুরি সংঘটিত হয়েছে।
বাদ যায়নি মসজিদের দান বাক্সের টাকা, ভাঙ্গারী দোকান। খোদ থানার সামনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিন্ধুক নিয়ে গেছে চোরের দল। আবাসিক এলাকা থেকে বাই সাইকেল,
মোটর সাইকেল চুরির খবর শোনা এখন নিত্য দিনের ব্যাপার। এভাবে শহরে চোরের উপদ্রব বাড়লেও পুলিশ কোন চোরকে আটক কিংবাে চোরাই মাল উদ্ধার করতে পারেনি। গত দু’তিন দিনে শহরের এতিমখানা ৪ নং ওয়ার্ডের সমাজ কল্যান এলাকার অনির্বান স্কুল থেকে ২টি ও ষ্টিডফার্ষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের ২ রাইডোরের ২টি সাইকেল নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা। সর্বশেষ রবিবার মধ্যরাতে থানার দুশ’ গজ দুরে ভাংগারি ব্যবসায়ীর দোকান ঘরের টিন কেটে ভেতরে ঢুকে
তার ক্রয়কৃত মূল্যমান তামা, পিতল, লোহা ও ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে দুই টাকা চুরি করে চোরের দল।
এদিকে দিন দিন শহরে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধিতে মাদক সেবীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। শহরে মাদকের আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় চুরির ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। শহরের বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাদক বাসায় বসে এবং মুঠোফোনে অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি দিচ্ছেন বলে
জানা গেছে একটি সূত্র থেকে। এছাড়া মাদকের পাশাপাশি অসামাজিক কর্মকান্ডের একাধিক শোনা যায় প্রায়শ:ই।
ভুক্তভোগী ভাংগারী ব্যবসায়ী অপু জানান, সোমবার সকালে দোকান খুলেই দেখি আমার দোকানের বেড়ার টিন কাটা এবং ক্যাশ বাক্সের তালা ভাংগা। দোকানের মালমাল এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। পরে দেখি আমার দোকান থেকে পিতল, পোড়া তামা, লোহা ও নগদ অর্থসহ প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এ বিষয়েথানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
ষ্টিডফার্ষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবারসন্ধ্যায় আমার কুরিয়ার সার্ভিসের দুই জন রাইডারের দুইটি সাইকেল নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা, এ দুইটি সাইকেলের মূল্য ২০ হাজার টাকা। সিসি টিভির ফুটেজ
সংগ্রহ করে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি সাইকেল উদ্ধারের জন্য।
কলাপাড়া থানার ওসি মো: আলী আহম্মেদ বলেন, ভাঙ্গারী দোকানে চুরির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার ও চোর গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া মাদকের বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স। মাদক নির্মূলে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।